অন্ধ নারী জানালেন পৃথিবী ধ্বংসের তারিখ !

বুলগেরিয়ার বাসিন্দা বাবা ভ্যাঙ্গা। যার আসল নাম ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা। থট রিডিং, অলৌকিক উপায়ে রোগ নিরাময় ইত্যাদি ক্রিয়ার কারণে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯১১ সালে জন্ম ভ্যাঙ্গেলিয়ার। বাল্যকালে সাধারণ ও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। কিন্তু এক ঘূর্ণিঝড় এসে সব ওলট-পালট করে দেয়।

ভ্যাঙ্গেলিয়া স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে পাওয়া যায়। চেতনা ফিরতে তিনি টের পান, তার চোখে কোনো সমস্যা হয়েছে। ক্রমে তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারান।

১৯২৫ সালে ভ্যাঙ্গা দৃষ্টিহীনদের জন্য এক বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি পিয়ানো বাজানো, রান্না করা, উল বোনা ইত্যাদিও শেখেন। এই সময় থেকেই তার মধ্যে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়। তিনি ভবিষ্যতে ঘটবে এমন ঘটনার কথা অবলীলায় বলতে শুরু করেন। অচিরেই তাকে ‘বলকানের নস্ত্রাদামুস’ বলে অভিহিত করা হয়। ১৯৯৬ সালে মারা যান ভ্যাঙ্গা। তখন তার বয়স ৮৫ বছর।

ভ্যাঙ্গা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিলেন তার মধ্যে অনেক ঘটনাই মিলে মিলে গেছে। তার কিছু ভবিষ্যদ্বাণী তুলে ধরা হল;

বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের প্রবল উত্থানের কথা বলেছেন ভ্যাঙ্গা। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, চীন শুক্রগ্রহে নতুন কোনও শক্তির উৎস খুঁজে বের করবে।

২০১৮ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংকটের মধ্যে পড়বে।

২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেবে।

ভ্যাঙ্গার মতে, ২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের অবলোপ ঘটবে। (ব্রেক্সিটের কথা মাথায় রাখলে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না।)

ইসলামি শক্তির দ্বারা ইউরোপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় ইসলামি শক্তিগুলো বিপুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।

২০৪৩ নাগাদ রোম একটি মুসলিম নগরীতে পরিণতি পাবে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফতের শাসন।

২১৩০ সাল নাগাদ মানুষ পানির তলায় বসবাসের বন্দোবস্ত করে ফেলবে।

২০৪৫ সাল নাগাদ বিশাল হিমশৈলগুলো গলতে শুরু করবে। পৃথিবীর অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে তখন।

২০৭৬ সাল নাগাদ ইউরোপে কমিউনিজম আবার মাথাচাড়া দেবে এবং তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।

৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু তত দিনে মানুষ এক নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে। সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ।

 

ই-বার্তা/এসএস