অপহরণকারীকে প্রেমে ফেলে মুক্ত হলো ব্রিটিশ মডেল

ই-বার্তা/ ডেস্ক রিপোর্ট।। বিবিসির সাংবাদিক ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্লোয়ি জানিয়েছেন ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা। গত বছর ফটোশুট করতে ইতালির মিলানে গিয়ে শিকার হয়েছিলেন অপহরণের। সে সময় ছয়দিন তাকে থাকতে হয়েছিল অপহরণকারীদের জিম্মায়। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ক্লোয়ি জানান, অপহরণের পর দুইদিন একটি সিন্দুকের ড্রয়ারের সঙ্গে শিকলবদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে অপহরণকারীর সঙ্গে বিছানায় যেতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।

২০ বছর বয়সী আইলিংয়ের বসবাস দক্ষিণ লন্ডনে। তিনি জানান, লুকাস হারবা নামে ৩০ বছরের এক যুবক গত বছরের জুলাইয়ে ফটোশুটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে মিলানে নিয়ে যায়। ফটোশুটের কথা বলা হলেও মিলানে যাওয়ার পর তাকে জোর করে নেশাদ্রব্য কেটামিন খাওয়ানো হয় এবং একটি ব্যাগে ভরে গাড়িতে করে দূরবর্তী একটি খামারবাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে হারবা তাকে জানায়, মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ ইউরো না পেলে তারা যৌনদাসী হিসেবে তাকে বিক্রি করে দিতে পারে। ক্লোয়ি বলেন,

 

“আমরা যতোই কথা বলছিলাম, ততোই মনে হচ্ছিল, আমাদের মাঝে একটি বন্ধন তৈরি হচ্ছে এবং যখনই আমি বুঝতে পারি সে (অপহরণকারী) আমাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে, আমি জানতাম যে এই সুযোগ আমাকে কাজে লাগাতে হবে।” 

 

অপহরণের দায়ে হারবাকে ১৬ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেয় মিলানের আদালত— ইপিএ আইলিং বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, সে (হারবা) যা বলছে তার সবই সত্যি। কেননা আমার প্রতিটি প্রশ্নের বেশ বিস্তারিত জবাব দিচ্ছিল সে। এক পর্যায়ে সে আমার কাছে জানতে চায়, আমাকে সে চুমু খেতে এবং আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক গড়তে পারবে কি-না। তখন আমার মনে হয়েছিল, এখান থেকে বের হওয়ার এটাই আমার সুযোগ।’ভবিষ্যতে আমাদের মধ্যে কিছু হলেও হতে পারে— আমার এমন জবাব শুনে তাকে (হারবা) তখন বেশ উচ্ছ্বসিত লাগছিল এবং সে সত্যিই বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছিল।

 

এরপর প্রায় সারাক্ষণই সে এ বিষয় নিয়েই কথা বলতে থাকে। তখন আমার মনে হয়, এটা চালিয়ে যাওয়া উচিত’, বলেন আইলিং। তিনি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে যখন হারবা বুঝতে পারে যে মুক্তিপণের অর্থ পাওয়া যাবে না, সে আমাকে মুক্ত করে দেয় এবং গাড়িতে করে আমাকে মিলানে ব্রিটিশ কনস্যুলেটে নিয়ে যায়। আইলিং বলেন, ‘এটা শুনতে খুব অদ্ভুত লাগতে পারে। কিন্তু তাকে (হারবা) আমার প্রেমে ফেলতে সম্ভব সবকিছুই আমাকে করতে হয়েছিল। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে হারবা জানায়, অপহরণের ঘটনার আগেই আইলিংয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল এবং সে সময়েই আইলিংয়ের প্রেমে পড়ে যায় সে। হারবা দাবি করেন, আইলিংকে জড়িয়ে তিনি একটি স্ক্যান্ডাল তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যাতে সে (আইলিং) বাড়তি প্রচারণা পায়।

 

ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট