আমি আপনাদের নূরু বলছি, আমরা আপনাদের জন্যই

ই-বার্তা।। আমি আপনাদের নূরু বলছি। সন্ত্রাসীদের ভয় পাবেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি সন্ত্রাসীদের ভয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থেমে যায় তবে এ জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’

 

এক মাস পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের ‘নূর চত্বরে’ হাজির হয়ে এ কথা বললেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর। দাবি জানালেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারীদের বিচার এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে মিছিল করলেন হাতে প্লাস্টার বাঁধা নূর। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমন ঘটনার অবতারণা হয়।এক মাস পর আহত নূরকে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। তারা নূরকে হর্ষধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন।

 

কোটা সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে গত ৩০ জুন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করতে উপস্থিত হয়েছিলেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরকে মারাত্মক আহত করে। হামলার এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে নূরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার সেখান থেকে ধানমন্ডির বেসরকারি আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নূর বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে আপনারা থামবেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি সন্ত্রাসীদের ভয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থেমে যায় তবে এ জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।

 

কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ’৫২, ’৭১, ’৯০ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক এবং মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের নূরু বলছি। আমরা আপনাদের উৎসাহেই, আপনাদের জন্যই আন্দোলন করেছি। আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে, রাশেদসহ অনেককে জেলে নেয়া হয়েছে। ৮, ৯ এবং ১১ এপ্রিলের মতো যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনারা অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে নেমে আসেন তবে কারো সাহস নেই এই ছাত্রসমাজের বুকে আঘাত করে। পরে নূরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মিছিলে তারা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষেম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, ‘ক্যাম্পাসে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই জেলে কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট