খালেদা জিয়ার নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কেন আশাবাদী?

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   দুটি দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  তারপরেও বিএনপি নেতারা আশাবাদী খালেদা জিয়া তিনটি আসনে নির্বাচন করবেন।নিজে নির্বাচন করতে চেয়েছেন খালেদা জিয়া।

 

 জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন।সাত বছরের সাজা হয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ জজ আদালতে তার ।

 

আদৌ তার প্রার্থিতা গৃহীত হবে কিনা? যদিও দুর্নীতিতে সাজা হওয়ার কারণে – তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ ও বিভ্রান্তি রয়েছে।খালেদা জিয়াতা হলে কোন ভরসায়  নির্বাচন করতে চাইছেন?

 

খালেদা জিয়াকে দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার রাজনৈতিক কৌশল থেকে  প্রার্থী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা । আওয়ামী লীগের নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীরের উদাহরণ টেনে নেন।

 

মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। সাজা হওয়ার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের।এম সাখাওয়াত হোসেন  সেই সময়ের নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন।মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে কমিশন তখন মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল।

বিএনপি নেত্রীর পক্ষে এখনও আপিল করা সম্ভব হয়নি খালেদা জিয়ার দুটি মামলারই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি না পাওয়ায়।বিএনপি নেতা মনে করছেন এখন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ের মধ্যে রায়ের কপি পাওয়া এবং আপিলের সুযোগ কম বলে অনেক ।একই সঙ্গে তারা বলছেন, এ ধরনের ইস্যুতে আপিল বিভাগের আগের রায় আছে, সেই রায়ের আলোকে নির্বাচন কমিশনই তাদের নেত্রীকে নির্বাচনে যোগ্য ঘোষণা করতে পারে।

 দুরকমই ভাষ্য আছে আইনজীবীদের। যেমন একপক্ষ বলছেন, এটি পারবেন না। আরেক পক্ষ বলছেন, পারবেন। বিএনপি নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, এটি বাধা হবে না। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।

 

একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন বিএনপি নেতারা , তারা বলছেন-রায়ের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তারা যদি আপিল করতে না পারেন, সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনও বলতে পারে যে, তারা রায়ের কপি পায়নি।ফলে কমিশন প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।

 

 বিএনপি নেতারা বিবেচনায় রাখছেন ভিন্নমত বা ভিন্ন ব্যাখ্যা যে আছে। খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করছেন তারা শুধু নিজেদের ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ।দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আদালতে পুরনো রায় এবং আগের সংসদগুলোর অভিজ্ঞতার ওপরও ভরসা করছেন তারা।

 

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা মনে করি- এটি একটি ব্যাখ্যার বিষয়। কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামির মামলা যদি আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকেন, তা হলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন। এর সুযোগ নিয়ে বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী বা এমপি আছেন।

 

 স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেছেন, আমরা চাই আমাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উনিও নির্বাচন করতে চান। সে জন্য মনোনয়নপত্র নেয়া হয়েছে এবং মনোনয়নপত্র দাখিলও করা হবে।

 

 

 

 

ই-বার্তা / ডেস্ক