খুলনার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জামায়াত প্রার্থী

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই জোটের শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে জামায়াতকে ছাড় দিয়েছে।  ২০-দলীয় শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ২২ আসন দেয়া হয়েছে

 

 জামায়াতের ২২ প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক সচেতনমহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়।খুলনা বিভাগের ৩৬ আসনের মধ্যে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ আসনে জামায়াত নেতারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক সচেতন মহলের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের আতঙ্ক।

 

২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট করে দুটি আসনে জয়ী হয়। আর জোটের সিদ্ধান্তে দশম নির্বাচন বয়কট করে দলটি।বিগত বিএনপি-জামায়াতের শাসনামল এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ওইসব নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বসতবাড়িতে জামায়াত-শিবির হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।নির্বাচন বানচালের জন্য তারা হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

 

জামায়াতের প্রার্থীরা  বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন মুক্তচিন্তার মানুষেরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর।

 

 ভোটের রাজনীতিতে বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে এখন প্রধান সমালোচনার বিষয় জামায়াতের শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে। যাদের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাস ও নাশকতার মামলা রয়েছে।

 

 

 

ই-বার্তা / ডেস্ক