জার্মানিতে ওজিলের সমর্থনে বিক্ষোভ

ই-বার্তা।। বর্ণবাদ ও অসম্মানের শিকার হওয়ায় কয়েক দিন আগে জার্মান জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন মেসুত ওজিল। গেল রোববার তাকে সমর্থন জানিয়ে দেশটির রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ভক্ত। আমিই ওজিল- এমন লেখা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে বার্লিনের রাস্তায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তারা। ওই সময় অনেকেই সেখানে উড়ান তুরস্কের পতাকা।

 

বিশ্বকাপের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল ও গুন্দোগান। পরে তার একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন ওজিল। তাতে দেখা যায়, এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন তিনি।বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোগানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সঙ্গে ছবি তোলায় জার্মানদের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তবু বিশ্বকাপের জার্মানি দলে সুযোগ পান তিনি। বিপত্তিটা বাধে প্রথম রাউন্ড থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিলে। ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে ওজিলের ঘাড়ে। ফলে উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণিত বার্তা হতে শুরু করে মৃত্যু হুমকিও পাচ্ছিলেন তিনি।

 

শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণার দিন বিশাল এক বিবৃতি দেন ওজিল। তাতে লেখেন- যখন জিতি তখন আমি জার্মান, আর যখন হারি তখন অভিবাসী, মুসলমান। মূলত বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদেই অবসর নেন ওজিল। তবে তা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি)। ইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বর্তমান স্পোর্টিং ডিরেক্টর ও সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার ফ্রেডি বোবিচ ওজিলের অবসর নেয়াকে কাপুরুষতা হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন।

 

ওজিল তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। জার্মানির গেলসেনকিরচেনে তার জন্ম। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। স্বদেশে অবহেলিত হলেও পিতৃভূমি তুরস্ক, আর্সেনাল সতীর্থ ও কোচ উনাই এমরির আকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন ওজিল। একদিকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন তুর্কিরা, অন্যদিকে পরিবারের সদস্যের মতো তাকে আগলে রাখছেন গানাররা। এমনকি শোনা যাচ্ছে, তার হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে দিতে যাচ্ছেন তারা।

 

 

ই-বার্তা/স্পোর্টস ডেস্ক