জীবনে আনন্দ না থাকার কারনে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞানী ডেভিড গুডল

ই-বার্তা ডেস্ক ।। ড. ডেভিড গুডল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক বিজ্ঞানী। ৭০ বছরের ক্যারিয়ারে পরিবেশ বিষয়ে তিনি শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন। সবচেয়ে প্রবীণ এই বিজ্ঞানীর বয়স বর্তমানে ১০৪ বছর। কোনো অসুখ-বিসুখ না থাকা সত্ত্বেও জীবনে আনন্দ নেই তার। আর তাই স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন তিনি। আগামী মাসেই মারা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ষীয়ান এই বিজ্ঞানী।

 

বাসেলে অবস্থিত একটি স্বেচ্ছামৃত্যু এজেন্সি থেকে ফাস্ট-ট্র্যাক অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছেন ডেভিড। বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন থেকে আনন্দ ফুরিয়ে গেছে তার। শিগগিরই সুইজারল্যান্ড রওনা দেবেন তিনি। আগামী মাসে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার জন্য এই জায়গাটিই তার পছন্দ।

 

এই মাসের প্রথম দিকে ১০৪ বছরে পা দেন ডেভিড। তখন গণমাধ্যম এবিসি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে এই ইকোলজিস্ট বলেন, ‘জীবনে এতগুলো বছর পাওয়ার জন্য আমার অনুশোচনার অন্ত নেই! আমি সুখী নই। আমি মৃত্যু চাই। মৃত্যু আমার জন্য বিশেষ কোনো দুঃখের বিষয় নয়। আমি দুঃখ পাচ্ছি, কারণ এর কোনো প্রতিকার নেই।’

 

‘আমি মনে করি আমার মতো বৃদ্ধ মানুষের জন্য নাগরিকত্বের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা করার অধিকারও দেওয়া উচিত’, যোগ করেন ডেভিড। এর আগে ২০১৬ সালে আরেকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন প্রবীণ এই বিজ্ঞানী।

 

ড. ডেভিড গুডল নামের এই বিজ্ঞানী পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দশক ধরে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ১০২ বছর বয়স হওয়ার কারণে তাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে না যাবার পরামর্শ দেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কাজ করার জন্য তিনি শারীরিকভাবে যোগ্য নন বলে বিবেচনা করা হয়। তাকে বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য বলা হলে তিনি এর ঘোরতর বিরোধিতা করেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কয়েক মাস আইনি লড়াই চালিয়েছেন ডেভিড। সেই সময় বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীদের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বাড়িতে বসে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ করার অনুমতি পান তিনি। পরে কর্তৃপক্ষ তার যুক্তি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্য একটি ক্যাম্পাসে কাজ করার সুযোগ দেন।

 

 

 

ই-বার্তা /ডেস্ক