বিয়ের কিছুদিন পর আর ওই মেয়েকে তার ভালো লাগে নাঃ সুজানা

ই-বার্তা।। পারিবারিকভাবে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হুমায়রা খানকে বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান। বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে পাঁচ মাস পর ২২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে এই দুজনের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার।

এটি হৃদয় খানের তৃতীয় বিয়ে। গোপনে বিয়ে করলেও এই বিয়েতে হৃদয় খান ও হুমায়রার পারিবারিক সম্মতি ছিল। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। হৃদয় খানের বিয়েতে মুখ খুলেছেন সাবেক স্ত্রী সুজানা। 

সুজানা বলেন, বিয়ের খবর শুনলাম।বিয়ের আগে যেমন সিরিয়াস থাকে, বিয়ের পর তেমনি পালটে যায়। ভয়! কবে না মেয়েটাকে ডিভোর্স দেওয়ার চেষ্টা করে। ওর সাথে আসলে সংসার করা যায় না। কেননা বিয়ের কিছুদিন পর আর ওই মেয়েকে তার ভালো লাগে না। মেয়েটার দোষ আছে এমন বিষয় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।

সুজানা বলেন, এমনটা আমার সঙ্গে করেছে। আমার আগে পূর্ণিমার সঙ্গে করেছে। এখন দেখার বিষয় এই মেয়েকে খারাপ বলে ডিভোর্স দিতে হৃদয় কত মাস সময় নেয়। বিয়ের পর ওকে মানুষ করতে আমি কম চেষ্টা করিনি। সেটা ওর এবং আমার পরিবারের সবাই কমবেশি জানেন। মিডিয়ারও অনেকে জানেন।

সুজানা আরও বলেন, যে খারাপ সে সবসময় অন্যকে খারাপ বলতে সময় নেয় না। তবুও দোয়া করি আর কোনো মেয়ের জীবন যেন নষ্ট না হয় হৃদয়ের দ্বারা। ওরা সুখী দাম্পত্য জীবন পার করুক। ওদের জন্য শুভ কামনা থাকলো।

২০১৫ সালের ১ আগস্ট হৃদয় খানের সাথে সুজানার বিয়ে হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।এটি হৃদয় খানের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে পূর্ণিমা আকতার নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন হৃদয়। সেই সংসার ভেঙে গেলে মডেল অভিনেত্রী সুজানাকে বিয়ে করেন। আট মাস পর সুজানাকে তালাক দেন হৃদয়।

১০ সেপ্টেম্বর হৃদয় খান হুমায়রার বিয়ের খবর মিডিয়ায় আসার পরে সুজানা এই কথা গুলো বলেন।