মাছ খাওয়া কেনো জরুরি !

ডেস্ক রিপোর্ট।। ভোজন রসিক বাঙালির পরিপূর্ণ  হয় মাছে । আর সেই মাছ রসনাবিলাস তো করতোই সাথে পুষ্টির সব চাহিদা পূরণ করে  সুস্থ স্বাভাবিক রাখতো।কিন্তু সময় পাল্টেছে বলে মাছে খাওয়ার প্রচলন দিন দিন কমছে।

 

কিন্তু মাছ আমাদের প্রত্যেকের শরীরের জন্য যে কত উপকারী সেটা জেনে নিই আগে
আর্থ্রাইটিস দূর করে:আর্থ্রাইটিসের মতো রোগকে দূরে রাখতে মাছের কোনো বিকল্প হয় না। মাছে থাকা উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রদাহের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগের প্রকোপ কমতে থাকে।অনিদ্রার সমস্যা কমে:আমাদের অনেকেরই রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটানোর বদঅভ্যাস আছে। অনেককিছু করেও ঘুম নিয়ন্ত্রণে আসে না। এই সময় প্রয়োজন সুখাদ্যাভাসের। এজন্য নিয়মিত খেতে হবে মাছ। কেননা নিয়মিত মাছ খেলে ভিটামিন ডি এর সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ফলে ঘুমে আর কোনো ব্যাঘাত হয়না।দৃষ্টিশক্তির ভালো থাকে:গবেষণায় দেখা গেছে, মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যারা সারাদিন কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে মাছ রাখবেন। চোখের যাবতীয় স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।মানসিক চাপ কমে আসে:আমাদের বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে মানসিক অবসাদের সমস্যাটা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এর বেশিরভাগই আবার তরুণ প্রজন্ম। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নিয়মিত মাছ খেতে চেষ্টা করুন। কারণ এক্ষেত্রেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শারীরিক ও মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে:বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের হৃদপিণ্ডজনিত রোগবালাই হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। মাছের সেই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে থাকা ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদপিণ্ডের যেকোনো ধরনের রোগ কমতে শুরু করে।ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে:হাড়ের গঠনে ভিটামিন ডি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 

তাই শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর সরবরাহ রাখতে হবে। এজন্য বেশি করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। যা হাড় শক্ত করে, হাড়ের রোগ দূর করে।ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে:মাছে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন আমাদের ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। ফলে স্কিন টোনের উন্নতি হয়। সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে টাটকা মাছ বিশেষ উপকারী। তাই মাছ খাওয়ার অভ্যাস রাখুন।

 

 

 

ই-বার্তা।ডেস্ক