মৌলভীবাজারের কাঁঠালতলী ইউপি চেয়ারম্যান এনামউদ্দিনের যত তাণ্ডব

ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর্ব-১

ই-বার্তা ।। প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা গুলোর মধ্যে মৌলভীবাজার অন্যতম। এখানকার প্রায় সব পরিবারেরই কেউ না কেউ বিদেশে থাকেন। অনেক বাড়ি প্রায় পুরুষ শুন্য। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর কাঠালতলী ইউনিয়নটিও প্রবাসী অধ্যুষিত। আর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাম এনামউদ্দিন। কর্মকাণ্ডের জন্য ইতোমধ্যে এলাকায় যার পরিচিতি বাড়ছে তাণ্ডব এনাম নামে।

 

এনাম চেয়ারম্যানের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছেন  আশরাফুজ্জামান মণ্ডল। প্রথম পর্বে থাকছে-

হোটেল তাণ্ডব 

মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের অল্প কিছু সামনে ভিডিএন (ভিলেজ ডিফেন্স নেটওয়ার্ক) নামে একটি এনজিওর জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে এনাম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দখল করা জায়গায় নিরীবিলি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামে একটি হোটেলও বানিয়েছেন এনামউদ্দিন। অভিযোগ আছে হোটেল টিতে অবৈধ যৌন ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাও চলছে। হোটেলের ম্যানেজার আব্দুল আজিজ এলাকায় চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

 

গত বছর বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি হোটেলে ইয়াবা এবং চার লিটার দেশি মদসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। এ ঘটনায় তখনকার ম্যানেজার দুলাল মিয়া পালিয়ে বাঁচলেও এ নিয়ে বড়লেখা থানায় এখনো একটি মামলা চলমান। অনুসন্ধানের স্বার্থে গত বুধবার পর্যটক পরিচয়ে হোটেল নিরীবিলিতে গেলে আগ বাড়িয়ে মেয়ে লাগবে কি না? মাদক লাগবে কি না? এসব বিষয়ে প্রশ্ন শুরু করেন কয়েক জন। এসব এখানে নিরাপদ কি না জানতে চাইলে একজন মার্কেটের নামফলক দেখিয়ে বলেন, দ্যাখেন এইটা চেয়ারম্যানের হোটেল। এখানে কারও কিছু বলার সাহস নাই।

 

কথোপকথনের ভিডিও এবং অডিও প্রতিবেদনের স্বার্থে রিপোর্টের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। পরে একইভাবে কেয়ারটেকার আব্দুর রউফের কাছে গেলে তিনিও অবৈধ যৌন ব্যবসার কথা স্বীকার করেন। তবে মাদক ব্যবসার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এসব বিষয়ে এনাম চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি দাবি করেন তার হোটেলে পুলিশ নিয়মিত থাকেন। সেখানে এ ধরণের কর্মকাণ্ড চলে না বলেও দাবি করেন তিনি।

 

দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল………

 

 

ই-বার্তা/এ এম