সাতক্ষীরায় আইনের নাকের ডগায় অবৈধ নছিমন তৈরির কারখান

 

 ই-বার্তা ডেস্ক ।। সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নছিমন, করিমন, পাগলাঘন্টা তৈরির কারখানা। এতে ঐ এলাকায় মহাসড়কে চলাচলের অবৈধ এ যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে প্রতিনিয়ন ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। জানা গেছে, মারাত্মক পরিবেশ দূষণকারী এসব যানবাহন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের একটিরও লাইসেন্স নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও। এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর অবৈধ ব্যবসা করে গেলেও এ নিয়ে পুলিশের কোন মাথাব্যথা নেই।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জাপুর বাজারের দুই ধারে ছোটবড় ৭টি ওয়ার্কশপে শিশুদের দিয়ে দিনরাত অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যান তৈরীর কাজ চলছে। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি আইনের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করায় হোল্ডিং ঝালাই এবং ব্যাপক শব্দ দূষণে পরিবেশ নষ্ট করছে। জানা যায়, বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কারখানা গুলো সিলগালা করলেও আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে পুনরায় অবৈধ চালু করেছেন কারখানা মালিকরা।

 

আর এসব মরণ যন্ত্র যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তারা একেবারে অনভিজ্ঞ। ফলে রাস্তায় উঠে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এমনকি জীবনহানির মত ঘটনাও ঘটে ঘটছে প্রতিনিয়ত। ফলে এদের অত্যাচারে এলাকাবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা। বেশ কয়েকজন নচিমন চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কে চলাচলের আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও এসবের কোন কিছুর তোয়াক্কা করেন না তারা। এজন্য প্রভাবশালী শ্রমিক নেতাদের খুশি করলেই হয়। পাশাপাশি রুট পারমিটের জন্য প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাদের খুশি করতে হয় বলেও জানান তারা।

 

কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক নাম না প্রকাশ করার স্বার্থে জানিয়েছেন, সপ্তাহে ১৫/২০টা এবং মাসে ১ থেকে ২শত ইঞ্জিন ভ্যান বানিয়ে থাকেন তারা। এক একটা ইঞ্জিন ভ্যান বানাতে খরচ পড়ে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কারখানা মালিক নিয়মিত প্রশাসন এবং প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এ অবৈধ ব্যবসা করলেও কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না বলে জানান এ শ্রমিক।

 

এলাকাবাসী জানান, নছিমন করিমনের চালকরা এতোটাই বেপরোয়া যে রাস্তায় উঠলে এরা কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না। যার খেসারত প্রাণ হারানোসহ চিরদিনের মত পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। জীবনঘাতী এসব অবৈধ যানের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত উর্দ্ধতন প্রশাসনিক মহলের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন্ন এলাকাবাসী।

 

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক