হেঁচকি কেন হয়? বন্ধ করবেন কিভাবে?

ই-বার্তা ।।  হেঁচকি কেন হয় তা এখনো খুব স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। দ্রুত খেতে চেষ্টা করলে, অনেক গরম ও মসলাদার খাবার খেলে, গরম খাবারের সঙ্গে খুব ঠান্ডা পানি বা পানীয় পান করতে শুরু করলে, অনেকক্ষণ ধরে হাসলে বা কাঁদলে হেঁচকি হতে পারে।

বড়দের অবিরত হেঁচকি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। উদ্বেগ, কিডনির রোগ, শরীরে লবণের ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, ফুসফুসের সংক্রমণ বা নিউমোনিয়ায় হেঁচকি হতে পারে। আবার মস্তিষ্কের কিছু রোগ যেমন টিউমার বা ফোড়া, পেটের কিছু রোগ, যেমন অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ বা হেপাটাইটিস ইত্যাদিও হেঁচকির কারণ হতে পারে। তবে শারীরিক সমস্যা ও রোগে অনেক সময় বিরক্তিকরভাবে বারবার বা অবিরত হেঁচকি হতে পারে। আজকের লেখাটি থেকে জানানোর চেষ্টা করবো।

আমাদের শরীরের ভ্যাগাস নার্ভ অথবা এর কোন একটি শাখা প্রশাখা যেগুলা (ব্রেন থেকে অ্যাবডোমেন পর্যন্ত বিস্তৃত) বাধাপ্রাপ্ত অথবা উদ্দীপ্ত হয় বলে এটি হয়।

বিশেষজ্ঞগণ বলেন যে সাধারনত পরিপাকতন্ত্রের গোলমালের কারনে এটি হতে পারে। এটা বাচ্চাদেরও হতে দেখা যায়।

১. অন্যকোন অনুভূতির দ্বারা ভ্যাগাস নার্ভ কে উদ্দীপ্ত করা। তখন এই নার্ভ ব্রেন কে অন্য ইম্পরট্যান্ট কাজ করার সিগনাল পাঠাবে তখন ব্রেন থেকে হেচকি রোধ হবে।

২. রক্তে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে ফেলা এটি তখন শরীর হেচকি উঠা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড কে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পরবে। নিচে কিছু পদ্ধতি দেয়া হল হেচকি রোধ করার

# এক চামচ চিনি নিন ও জিহ্বার পিছনে [যেখান দিয়ে টক স্বাদ নেন] রাখুন। এটি নার্ভের উত্তেজনা বাড়াবে ।

#কিছু ডাক্তার বলেন যে হেচকি উঠলে কানে আঙ্গুল দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এটি ভ্যাগাস নার্ভ কে উদ্দীপ্ত করবে।;কিন্তু সাবধান কানের বেশি গভীরে আঙ্গুল ঢোকাবেন না

৩. হঠাৎ করে অবাক হলে হেচকি চলে যায়।

৪. পানি খেলে হেচকিচক্র বাধাগ্রস্থ হয়। পানি দিয়া গড়গড়া ও করতে পারেন।

৫. জিহ্বা বের করে রাখুন এটি হেচকি রোধে সাহায্য করবে।

৬. কোটন বার্ড দিয়ে মুখের তলায় কাতুকুতু দিতে পারেন। যেকোন ধরনের সুড়সুড়ি হেচকি রোধে কাজ করে।

৭. নাক ধরে মুখ বন্ধ করুন যতক্ষণ না হেচকি বন্ধ হয়।

৮. একটি কাগজের ব্যাগের ভিতর শ্বাসপ্রশ্বাস নিন।এটি রক্তে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে দিবে।

৯. খুব দ্রুত খাবার খেলে খাবারের ভিতর ভিতর বাতাস ডুকে যায় যেটি নার্ভ কে উত্তেজিত করে।ঠিকভাবে খাবার চাবিয়ে খেলে এবং পরিমিত পানি পান করে হেচকি এড়াতে পারবেন।

১০. পাকস্থলী পূর্ণ হয়া যাওয়া হেচকি উঠার অন্য একটি কারন। হেচকি উঠার মাধ্যমে শরীর আপনাকে জানিয়ে দেয় যে এখন খাওয়া বন্ধ করুন। পরিপাক্তন্ত্র তার কাজ শুরু করবেন।

১১. অতিরিক্ত মসলা ও ঝাল খাবার খেলে হেচকি উঠে তাই এগুলোও এড়িয়ে চলতে পারেন।