আবরার হত্যায় ২০ জনকে আসামি করে চার্জশীট জমা দেওয়া হবে
ই-বার্তা ডেস্ক।। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। আদালতে দেয়া বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ৬ নেতার জবানবন্দিতে এই চার্জশীট দেওয়া হবে।
ওই ৬ নেতার জবানিতে আরও অনেকের নাম এসেছে, যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। কৌতূহলবশত ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। পরিকল্পনাকারী এবং নির্দেশদাতাদেরও আসামি করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ছাত্রলীগের সিক্রেট মেসেঞ্জার গ্রুপ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা এবং ১৬১ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মশারি টানানোর রড-স্টাম্প, খুনিদের কল রেকর্ড এবং মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথন আলামত হিসেবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে ফরেনসিক টেস্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আবরার হত্যার ঘটনায় আর কোনো আসামিকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার ইচ্ছা পুলিশের নেই। তবে সাক্ষীর মধ্যে থেকে ২-১ জনকে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আওতায় আনা হতে পারে।
এদের মধ্যে আশিকুল ইসলাম বিটু নামের একজনকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। স্বীকারোক্তি দেয়ার বাইরে যাদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের অপরাধ প্রমাণ করা হবে।
সিক্রেট মেসেঞ্জার গ্রুপ পর্যালোচনা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন আবরারকে নির্যাতনের নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন।
৫ অক্টোবর শনিবার বেলা পৌনে ১টায় ১৬তম ব্যাচকে ম্যানশন করে রবিন লিখেন, ‘সেভেনটিনের আবরার ফাহাদকে মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত। দু’দিন টাইম দিলাম।’
ডিবি সূত্র জানায়, চার্জশিটে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মোজাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এএসএম নাজমুস সাদাতসহ আরও অন্তত ১০ জন রয়েছে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু