আমি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছিঃ প্রিয়া সাহা
ই-বার্তা ডেস্ক।। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হারিয়ে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে বেশ সমালোচিত প্রিয়া সাহা। এবার তিনি মনে করিয়ে দিলেন ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার কথা।
গতকাল রবিবার বিকেলে টেলিফোনে প্রিয়া সাহা বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতার সময় টানা ৯৪ দিন সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এ দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষায় তখন তিনি বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গায় যে কথা বলা যায় এটি তিনি শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখেছেন বলেও দাবি করেন প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কয়েক সেকেন্ডের কথোপকথন আর এই ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়ে ঘৃণ্য প্রচারণা চালিয়ে কোন গোষ্ঠী লাভবান হতে চেয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হোক।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে মিছিল, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করছে, বাংলাদেশটা যেমন তাদের, তেমনি আমারও। আমি আমার দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি।’
প্রিয়া বলেন, ৩৭ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু ‘ডিস-অ্যাপিয়ার্ড’ হওয়ার অর্থ তিনি বুঝিয়েছেন ‘ক্রমাগতভাবে হারিয়ে যাওয়া’ হিসেবে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর জনসংখ্যার সরকারি হিসাব দেখলেই এটি স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্য ছিল ২৯.৭ শতাংশ। ২০১১ সালের জরিপে তা নেমে এলো ৯.৬ শতাংশে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৮ কোটি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে তো এখন সংখ্যালঘুর সংখ্যা ছয় কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে সংখ্যালঘুর সংখ্যা এক কোটি ২৯ লাখ। অর্থাৎ চার কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার হওয়ার কথা ছিল।’
প্রিয়া বলেন, ‘গত ২ মার্চ পিরোজপুরে আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পরদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। অথচ ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর সেই আগুনকে সাজানো নাটক বলছে! খোঁজ নিয়ে সত্যটা জানুন।’
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু