কক্সবাজারের বিশেষ পর্যটন এলাকায় বসবে ক্যাসিনো
সারাদেশে অনুমোদনহীন ক্যাসিনো ও জুয়ার আড্ডায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান চালানোর মাঝেই কক্সবাজারের বিশেষ পর্যটন এলাকায় ক্যাসিনোর বসানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস (২৭ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ক্যাসিনো বসানোর যুক্তি দেখিয়ে মহিবুল হক বলেন, “ক্যাসিনো বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরকার। মালয়েশিয়াতে যেসব ক্যাসিনো আছে, সেগুলোতে পাসপোর্ট দেখিয়ে ঢুকতে হয়।
আমরা তো তাদের (বিদেশি) জন্য এ ধরনের কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছি না। আমরা যেখানে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করব, সেখানে শুধু বিদেশিদের জন্য এসব সুযোগ-সুবিধাগুলো থাকবে।”
দেশে বিদেশিদের জন্য নাইট ক্লাবও বানানো হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পর্যটন সচিব বলেন, “অন্য মুসলিম দেশগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান আছে, বাংলাদেশে এক্সক্লুসিভ জোন হলে সে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে তো অসুবিধা নাই।”
কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করার পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলা ও সুন্দরবনকে ঘিরে মহাপরিকল্পা করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব।
তিনি বলেন, “সুন্দরবন কিন্তু পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা নেই। কিন্তু আমরা কি সেখানে পর্যটকদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করতে পেরেছি? পারিনি।সেই কারণেই আমরা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় স্পট বাছাই করে নিয়েছি।
বিদেশি পর্যটকদের জন্য সেখানেও এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করব। এর মধ্যে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে বুয়েটের প্রতিনিধি দল জরিপ করেছে। তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সেখানে পযর্টক বিশেষ করে বিদেশি পর্যটক যাতে আকৃষ্ট করে এবং বিদেশি বড় বড় ক্রুজ শিপগুলো ইকো ট্যুরিজম উপভোগ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খুব দ্রুত নেব।”
এ ছাড়াও বেসরকারি ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের জন্য নীতিমালা তৈরি হচ্ছে বলেও জানান সচিব।