কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষ
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের সব ক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চলমান এ পরস্থিতিতে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার অর্ধশত চর প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় পানি ঢুকে কুড়িগ্রাম সদর এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শত শত হেক্টর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এদিকে ধরলার ভাঙ্গনে সদর উপজেলার সারডোব, মোঘলবাসা, পাঁচগাছি, যাত্রাপুর এবং তিস্তার ভাঙ্গন বজরা, থেতরাই ও গুণাইগাছ এলাকায় বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও আবাদী জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিবাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে জেলার ছোট-বড় নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও দুয়েক দিন পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা তসরা হচ্ছে বলে জানান তিনি।