খলনায়ক সালেকের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে
ই-বার্তা ডেস্ক।। বিনা অপরাধে অপরাধী নিরীহ জাহালমকে জেল খাটানোর ঘটনার মূল হোতা আবু সালেকের অবস্থান জানা গেছে। দীর্ঘদিন কলকাতায় পলাতক থাকার পর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর দেশে আসেন এই প্রতারক। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংকের মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট শাখা থেকে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সালেকের বিরুদ্ধে।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, সালেক দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। হঠাৎই দেশে এসেছেন। এই চাঞ্চল্যকর খবরটি সংগ্রহ করেছেন জাহালমের জেল খাটার ঘটনায় দুদকের তদন্ত কমিটির প্রধান ও পরিচালক আবুল হাসনাত মো. আবদুল ওয়াদুদ। সালেককে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়, সালেককে গ্রেফতারে জন্য র্যাব, ডিবি, সিআইডিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সালেক ও তার আত্মীয়স্বজনের মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাক করা হচ্ছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটও সালেকের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে। সালেককে গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ নির্বিঘ্ন করতে ব্যাংককে জাহালমের টাঙ্গাইলের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছিল। জাহালমের ছবি ব্যবহার করে সালেক নিজের জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন।
এরপর ২৬ মামলায় সালেকের পরিবর্তে জাহালমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাহালমকে পাঠানো হয় জেলে। টানা তিন বছর জেল খাটতে হয় দরিদ্র পাটকল শ্রমিক জাহালমকে।
অন্যদিকে, ৯ জন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্নিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা, গ্রাহক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৬টি চার্জশিটেই আবু সালেকের নাম বাদ দিয়ে জাহালমকে অন্তর্ভুক্ত করে চার্জশিটগুলো আদালতে পেশ করেছিলেন।
বিনা অপরাধে জাহালমের কারাভোগের ঘটনায় এরই মধ্যে হাইকোর্ট জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও ভুল তদন্তের সঙ্গে জড়িত তদন্ত কর্মকর্তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে দুদকের প্রতি রুল জারি করেছেন। হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে জাহালম মুক্তি পেয়েছেন।
ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ