গণশুনানির নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ষড়যন্ত্র শুরু করেছেঃ আইনমন্ত্রী
ই-বার্তা ডেস্ক।। জাতীয় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর ঐক্যফ্রন্ট এখন গণশুনানি করছে বলে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তাদের ওই অনুষ্ঠানে একজন সাধারণ জনগণ নেই। তারা সেখানে বসে শুধু ঘুমিয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। এই যে ‘ঘুমানো চক্র’ দেখছেন, তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে রকম ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছিল, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন একটি নির্বাচন করেছিলেন। ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিল বলেই আন্দোলনের মাথায় দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হয়েছিল। উনারা বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছর এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই পাঁচ বছর জনগণ উপকৃত হয়েছেন বলেই আন্দোলন হয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, উনারা নাকি এখানে গণশুনানি করেছেন। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই বলেই তাদের অডিটোরিয়ামে বসে শুনানি করতে হয়। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে গণশুনানি করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এখানেই তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার পার্থক্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে, সেই দ্বারপ্রান্তে কিন্তু আমরা পৌঁছে গেছি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবে বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশকে খালেদা জিয়া এবং কামাল হোসেনরা পাকিস্তানের পেছনে রাখতে চায়। অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের সহকারীদের জন্য পৃথক আইন প্রণয়নের বিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নূর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, ঢাকা কোর্ট আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি আবদুল হান্নান প্রমুখ।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু