চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০
চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭০। এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী তিব্বতেও শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে চীনের প্রতিটি অঞ্চলেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১১ জন।
চীনে গত সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৮১ জন ছিল। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয় ১০৬ জন। গতকাল এই সংখ্যা ১৩২ জনে গিয়ে ঠেকে।
দেশটিতে গত রোববার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৩৫ জন। সোমবার তা বেড়ে হয় ৪ হাজার ৫১৫ জন। মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্ত হয় ১ হাজার ৪৫৯ জন। মঙ্গলবার দিন শেষে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯৭৪ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে নাগরিকদের চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। অনেক এয়ারলাইনস চীনে যাওয়া-আসার ফ্লাইট কমিয়ে দেওয়া ও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের বাইরেও এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটছে। চীন ছাড়া এখন পর্যন্ত ১৬টি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আজ বৈঠকে বসছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারের ফলে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারির মতো অবস্থা হয়েছে কি না, তা বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, চীন সরকার এই সংকট মোকাবিলা করতে পারবে বলে তাদের আস্থা রয়েছে। তবে গত কয়েক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে, মানুষ থেকে মানুষে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টিতে ডব্লিউএইচও উদ্বিগ্ন।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি বন্য প্রাণী বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। আর সেখানেই এই ভাইরাসের ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করার পর চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রদেশটির সঙ্গে অন্য এলাকার সব ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সেখানকার প্রায় ৬ কোটি মানুষ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাময় বা টিকা নেই।