জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদনে ১৩ দেশের বিরোধিতা
ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল প্রশ্নে জাতিসংঘে আবারও বড় পরাজয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে (স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করা) যুক্তরাষ্ট্র যে আবেদন জানিয়েছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৩ সদস্য দেশ তার ঘোর বিরোধিতা করেছে।
শনিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোমিনিকান রিপাবলিক ছাড়া বাকি ১৩ দেশ সংস্থাটির সভাপতির কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন।
পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। আগামী অক্টোবর মাস থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমরাস্ত্র বেচাকেনা করতে পারবে তেহরান।
সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলেও ওই সব নিষেধাজ্ঞার মেয়ার বাড়ানোর কথা বলছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে যত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রয়েছে সেগুলো আমরা আবার চালু করতে চাই।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহালের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেন। তার ওই আবেদনের পর নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ দেশ তাদের বিরোধিতার কথা ঘোষণা করল।
ট্রাম্পের বিরোধিতা করে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য রাষ্ট্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে দেশটি এই সমঝোতা বা নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের ধারাগুলো ব্যবহারের অধিকার হারিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি আলাদা চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালুর প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করেছে।
চীন এবং রাশিয়াও বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন জানানোর কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
এদিকে ইরান বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজমের আবেদন জানালে আরেকবার অপমানিত হবে। হলোও তাই।
গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য জাতিসংঘে তোলা আমেরিকার প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে।