টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড্রোন নিয়ে র্যাবের অভিযান, ডাকাতদের আস্তানা ধ্বংস
ই-বার্তা ডেস্ক।। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে সক্রিয় ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারে জড়িত তারা। দলের মূলহোতা রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম।হাকিমসহ তাদের মূল আস্তানা হচ্ছে, ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর দেড় পর্যন্ত টেকনাফের নিবন্ধিত নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে ড্রোন উড়িয়ে ডাকাতদের চার-পাচঁটি আস্তানা ধ্বংস করে দিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
র্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারের জন্য ডাকাতরা এসব আস্তানা ব্যবহার করতো। এর আগে শুক্রবার সকাল ৭ টায় থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দূর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায় র্যাব-১৫।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে থাকা ডাকাতরা রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জিম্মি করে প্রায়ই লুটপাট চালায়। এছাড়া ডাকাত দলের সদস্যরা ধর্ষণ, খুন ও অপহরণের মতো অপরাধ করছে। ক্যাম্পের ভেতর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়। পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীর অবস্থানের খবর ছিল। হাকিম বাহিনীর গ্রুপকে ধরতে পাহাড়ে প্রাথমিকভাবে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম র্যাব সদর দপ্তর থেকে ড্রোন এনে ডাকাত দলের আস্তানা খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজনে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে। সম্প্রতি সময়ে গত ২০ অক্টোবর রাতে টেকনাফ বাহাছড়া শীলখালী মাঠপাড়া এলাকার ‘হেডম্যান’ আবুল কালামের বসত বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে স্কুল ছাত্রী লাকি (১২) ও তসলিমা(১৪) দুই কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছিল।