তাদের কে হত্যা করছে কারা?
ই-বার্তা ডেস্ক।। দু’জনেরই গলায় ঝুলানো চিরকুটে লেখা ছিলো আমি ধর্ষক। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। কোন ধর্ষণ মামলার তারা অভিযুক্ত এসব তথ্য ছিল সেখানে।
শাহিন জমাদ্দার কিসলু, যিনি নিহত এই দুই ব্যক্তির সম্পর্কে যথাক্রমে মামা ও চাচা হন। তিনি বলেন, এফআইআর হওয়ার আগেই গত ২৬ জানুয়ারি সজলের লাশ পাওয়া যায়। রাকিব উধাও হয় ২৫ তারিখ নবীনগর থেকে।
তিনি অভিযোগ করেন, আমার ভাইগ্না ও ভাতিজাকে নির্যাতন করে মারা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত হবে, তদন্তের পর বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ফাঁসি দিক অথবা যাবজ্জীবন দিক সেটা আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু এভাবে হলে তো আমরা সেটা মানতে পারি না।
নিহত দু’জনই পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা। তারা দু’জনেই একই এলাকার ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত।
ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমাদের মাঝেও একটা প্রশ্ন থাকে। কারণ তারা আমাদের এলাকার কেউ না, এদের বাড়ি এখানে না, এখানকার কোন অপরাধের তারা জড়িত না। এখন আমরাও বোঝার চেষ্টা করছি এই লাশগুলো এখানে আসলো কিভাবে। কারা এগুলো করছে তা আমরা তদন্ত করে বের করবো।
ঝালকাঠির প্রথমটি এবং সাভারের মরদেহটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সবশেষ শুক্রবার যেটি পাওয়া গেছে তার ময়নাতদন্ত চলছে।
এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, এমন ঘটনায় ধর্ষণ তো কমাবেই না এবংএটাকে ঘিরে আরও অপরাধমূলক কাজের জন্ম হতে পারে।
তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ এই ধরনের বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সমর্থন করে যখন আইনের প্রতি সে আস্থা হারায়। তাদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া উচিত।
তবে সব মিলিয়ে কে এভাবে হত্যা করছে, আর একই পদ্ধতি অবলম্বন করে কেন মরদেহগুলো ফেলে রেখে যাওয়া হচ্ছে – সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু