‘তালাকের পর যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা কেন?’
ই-বার্তা ডেস্ক।। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। এই দিবসে বাংলাদেশ ম্যানস রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমআরএফ) জাতির কাছে প্রশ্ন রেখেছে- ডিভোর্সের পর যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা কেন?
রোববার সংগঠনের নেতারা পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ প্রশ্ন রাখেন ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, আজ ঘরে-বাহিরে সব জায়গায় পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু আত্মসম্মানের জন্য প্রকাশ করতে পারছে না। আবার পুরুষ নির্যাতন দমন আইন না থাকায় আইনের আশ্রয় নিতেও পারছে না।
নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন নারীরা। পরকীয়া ও অবাধ্য স্ত্রীকে শাসন করতে গেলেই স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিচ্ছে।
বাংলাদেশের আইনে দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা হয়, ‘যদি কোন ব্যক্তি এমন কোন নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তা হলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে।
যার শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয়দণ্ড। উল্লেখ্য, এ রকম ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে গণ্য হবে না।’
নারীদের শাস্তি না থাকার কারণে তারা পরকীয়ায় উৎসাহিত হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এ আইনটি সংশোধন করে নারীদের ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
চট্টগ্রামের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আজকের এ দিবসে জাতির কাছে প্রশ্ন- ডিভোর্সের পর যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা কেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি যৌতুক ও ধর্ষণের মামলায় দুই মাস ধরে জেলহাজতে আছেন।
তাই প্রশাসনের কাছে দাবি, তার বিরুদ্ধে যৌতুক ও ধর্ষণের মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। অপরাধীর সাজা আমরাও চাই, কিন্তু নিরপরাধ কোনো মানুষ যাতে সাজা না পায়।
আমরা সবসময় আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। সবসময় নির্যাতিত পুরুষ ভাইদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম