দখল করা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকতেন রাজীব
ই-বার্তা ডেস্ক।। কমিশনার হওয়ার আগে মোহাম্মদপুরে ৬ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবারে থাকতেন রাজীব। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন হাতে আলাদিনের চেরাগ পান তিনি। বদলে ফেলেন দুর্দশাগ্রস্ত জীবন।
২০১৪ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন রাজীব। বয়সে তরুণ ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় এলাকার ভোটারদের নজরে পড়েন। নির্বাচেন জয়ী হন তিনি। এরপর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। রাতারাতি বনে যান ‘সুলতান’। গ্রেফতার রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে।
র্যাব সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, মোহাম্মদপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান ভূইয়া ও সেলিম প্রধান রিমান্ডে তারেকুজ্জামান রাজীবের নাম বলেছেন। সেই সূত্র ধরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব তার অবৈধ সম্পদের কিছু তথ্য দিয়েছেন।
মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর প্লটে পাঁচ কাঠা জমির ওপর ডুপ্লেক্স টাইপের যে বাড়িতে রাজীব থাকতেন, সেটিও তিনি দখল নিয়েছেন। দুই বছর আগে বাড়িটির মালিকের কাছ থেকে জোরপূর্বক অল্প টাকায় দলিল করে নেন রাজীব। ঐ ব্যক্তি মোহাম্মদপুরের একটি গ্রুপের কাছে আশ্রয় চান। এ নিয়ে রাজীব এবং ঐ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে। শেষে রাজীব ডুপ্লেক্স বাড়িটি দখল করে নেন।
রাজীবকে গ্রেপ্তারের অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, রাজীবকে গ্রেপ্তার করার পর সেই ডুপ্লেক্স বাড়িতে প্রায় দেড় ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়। পরে চাঁন মিয়া হাউজিংয়ে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান র্যাব সদস্যরা। সেখানে অভিযানের সময় সহযোগিতা না করা এবং আলামত নষ্ট করার অভিযোগে রাজীবের অফিস সহকারী সাদেক আহমেদকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মোহাম্মদীয়া হাউজিংয়ের যে বাড়িতে রাজীব থাকেন, ঐ ডুপ্লেক্স বাড়ির দাম হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। তার যে আয়, তার সঙ্গে এটা মোটেই সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থাৎ, অবৈধ আয় দিয়ে তিনি এসব করেছেন।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু