দাফনের আগে নড়ে ওঠা সেই নবজাতকের মৃত্যু
ই-বার্তা ।। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘মৃত ঘোষণা’ করা সেই নবজাতককে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। ঢাকা শিশু হাসপাতালে গতকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার নবজাতক শিশুটি মারা যায়।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল আজিজ জানান, অনেক চেষ্টার পরেও নবজাতকটিকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল রাতে সে মারা গেছে। তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
জানা যায়, শনিবার সাভার থেকে এসে গাইনি বিভাগের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন শারমিন আক্তার। সোমবার সকালে তিনি কন্যাসন্তান প্রসব করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শিশুটিকে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে।
সেখানে গোসলের সময় শিশুটির দেহে প্রাণ থাকার বিষয়টি টের পান এক মহিলা। দাফনের আগে গোসল দেয়ার সময় শিশুটি নড়ে উঠলে তা অভিভাবকদের জানান ওই মহিলা। পরে তাকে প্রথমে আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবু তৈয়ব সাংবাদিকদের আরো বলেন, শিশুটির মায়ের রক্তশূন্যতা ছিল। সাত মাসে তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ওজন এক কেজি। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। আমরা মনে করছি, সকালে শিশুটির হার্ট কাজ করছিল না। তাকে কবরস্থানে নেয়ার পর হার্ট সামান্য কাজ করা শুরু করে। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নবজাতকটির ওজন ছিল মাত্র ৯০০ গ্রাম। সম্ভবত সাত মাসে তার জন্ম হয়েছিল। অস্ত্রোপচার ছাড়াই তার জন্ম হয়।
নবজাতকের মা শারমিন আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুটির বাবা মিনহাজ উদ্দিন সাভারের নয়াডিঙ্গির একটি পোশাক কারখানায় আয়রনম্যান পদে কাজ করেন।