দাম পড়ে যাওয়ায় বিপাকে কৃষক
ই-বার্তা ডেস্ক।। প্রতি মণ ধানের দাম কমেছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ধানের উৎপাদন বেড়েছে মজুদও বেড়েছে কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে নতুন পরিকল্পনায় সরকার ।
ধান ঘরে তোলার পর দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ মোটা ধানের দাম হাঁকছেন মাত্র ৫৮০ টাকা। গত ডিসেম্বরেও এসব জাতের ধানের মণ ছিল ৭৫০ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। আমদানি শুল্ক ধার্য করার সময় কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ দেখে পরামর্শ দেয়ার কাজটিও তাদের।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার খড়িবাড়ীহাট ধানের বড় মোকাম। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার হাটে অসংখ্য ধানের ট্রাক ভর্তি হয় এখানে। করিমপুর গ্রামের হাজী এনামুল হক বলেন, ভোটের পরের হাটে মোটা ধান ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়। এর পরের হাট থেকেই দাম কমতে থাকে। গত সোমবার ৬২৫ টাকা মণ ধান বিক্রি হয়।
বগুড়ার পঞ্চাশোর্ধ্ব চাষি মো. মোখলেসার জানান, বোরো ধানের এই দাম চলতে থাকলে পরের মৌসুমের জন্য ধান চাষ করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। অধিকাংশ চাষিই এ কারণে ঋণের নিচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছে। এদিকে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন বাজার থেকে আরও বেশি পরিমাণ আমন ধান কিনতে। যাতে ধানের দাম আরও বাড়ে। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কম দামে বাজার থেকে ধান কিনছেন।
২০১৩ সাল থেকে দেশের বাজারে চালের দাম মোটামুটি একই ছিল। ২০১৭ সালে হাওরাঞ্চলে ব্যাপক ফসলহানি হয়। উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার মুখে ব্যবসায়ীরা চালের দাম অনেক বাড়িয়ে দেন।
আমদানি বাড়ে, তবে চালের দাম তেমন কমে না। ২০১৮ সালে বোরো মৌসুমে ব্যাপক আবাদ ও ফলন হলে ধানের দাম পড়ে যায়। সরকার তখন চালের আমদানি শুল্ক আবার বাড়িয়ে দেয়। তখন আমদানি কমে গেলে দাম আবার বাড়ে। তবে লাভ করেন ব্যবসায়ীরা, কৃষকের জন্য ধানের দাম এখনো লাভজনক হয়নি।
ই- বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ