‘প্রবাসে শ্রমিকের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা, একে অন্যভাবে উপস্থাপনের সুযোগ নেই’
ই- বার্তা ডেস্ক।। প্রবাসে শ্রমিকের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা, একে অন্যভাবে উপস্থাপনের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শনিবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সীমানা সম্প্রসারণ বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে শ্রমিকরা লাশ হয়ে দেশে ফিরুক সরকার এটা কখনো চায় না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের বিশাল একটি অংশ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন, যার পরিমাণ ১ কোটি ২২ লাখেরও বেশি।
মন্ত্রী বলেন, এত সংখ্যক শ্রমিকদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যুর ঘটনা অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই হয়। তাই শ্রমিক মৃত্যু নিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, আর নির্যাতনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত সকল শ্রমিকদের সহায়তার জন্য প্রত্যেকটি দেশে বাংলাদেশের হাইকমিশনের অন্তর্ভুক্ত আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।তিনি বলেন, কোনো শ্রমিক যদি সেখানে নির্যাতিত হন আর তাদেরকে তথ্য দেন, সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ওই দেশে বাংলাদেশের শ্রমিককে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই সেবাটি ২৪ ঘণ্টাই যাতে চালু থাকে সেজন্য হটলাইনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় নাগরিক সেবা বাড়াতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পরিধি বাড়ানো হবে বলেও জানান। সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিধি বাড়লে সেবার মানও বাড়বে। আরও বেশি মানুষকে নাগরিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। এতে অধিকতর রাজস্ব আদায়ও হবে। সিলেট শহর বড় হলে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের সবগুলো বড় শহরে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। খুলনা ও রাজশাহীতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থাকলেও আমাদের সিলেটে নেই। শহর বড় হলে এ দাবি আরও জোরালো হবে। তখন আমরা বলতে পারবো সিলেট অনেক বেশি মানুষের শহর, তাই সিলেটেও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ।