ফখরুলের আসনে মান্নাকে উপনির্বাচন করার প্রস্তাব বিএনপির
ই-বার্তা ডেস্ক।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি আসনে জয়ী হলেও সেখান থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি সবাই সংসদে যোগ দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে মির্জা ফখরুল শপথ না নেয়ায় বগুড়া-৬ আসনটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়। ফলে সেখানে এখন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও এতে অংশগ্রহণের সম্ভাবনাই বেশি- এমন আভাস দিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। সে লক্ষ্যে শুরু হয়েছে প্রার্থী খোঁজার কাজও। কেন্দ্রীয় না স্থানীয়- কোন পর্যায়ের নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তা নিয়ে দলের ভেতর ও বাইরে চলছে নানা আলোচনা।
বগুড়ার এই উপ-নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপি বেশ কিছু বিকল্প ভাবছে।দলের জন্য ‘প্রেস্টিজিয়াস’ এই আসনটিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপি সিরিয়াস। এমন কাউকে দলের টিকিট দিতে চায় যিনি জয়ী হয়ে আসতে পারবেন। আবার সংসদে গিয়ে জোরালো ভূমিকাও রাখতে পারেন।
এসব বিবেচনায় এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি নাম বিবেচনায় রেখেছে বিএনপির হাইকমান্ড। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী আলোচিত হচ্ছে নাগরিক ঐক্যের আহ্বাবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নামটি।
প্রথমত মান্না বগুড়ার সন্তান, এখানে তার একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে। দ্বিতীয়ত তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি আয়োজিত সভা-সমাবেশগুলোতে ভোকাল।তৃতীয়ত মান্নার একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্য আছে, তিনি ঢাকসুর সাবেক দুই দুই বারের ভিপি।চতুর্থত গত নির্বাচনে তিনি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বগুড়ার একটি আসন থেকে নির্বাচন করেন।তাই প্রেস্টিজিয়াস এই আসনে মান্নাকে বিবেচনায় রেখেছে বিএনপি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এমন নেতাকে বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে, যিনি সংসদে শক্তভাবে কথা বলতে পারবেন। বিএনপির বাকি সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। এমন চিন্তা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে একটি কঠিন শর্তও দেয়া হয়েছে। মান্না যদি দল (নাগরিক ঐক্য) ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন, তাহলেই তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। তার নিজ দল থেকে নির্বাচন করলে বিএনপি এতে সমর্থন দেবে না।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু