ফাস্ট লেডির কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন সাবেক প্লেবয় মডেল
ই-বার্তা।। সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলেনিয়া ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বৃহস্পতিবার সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১০ মাসের ওই সম্পর্কের জন্য তিনি ফার্স্ট লেডির কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে চান।
প্রথমবার মিলিত হওয়ার পর ট্রাম্প টাকা দিতে চাওয়ায় অশ্রুসিক্ত নয়নে বাড়ি ফেরার কথাও সাক্ষাৎকারে সাবেক এ মডেল স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প আমাকে টাকা দিতে চাইলেও আমি জানতাম না, কীভাবে সেটা নিতে হয়। আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, এটা আমার জন্য না। সেই ধরনের মেয়ে আমি নই।
ট্রাম্পের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে নিয়ে চলে গেলে আমি কাঁদতে শুরু করলাম। ওই ঘটনায় সত্যিই আমি ব্যথিত ছিলাম। যা আমাকে প্রচণ্ড আঘাত দিয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই ম্যাকডোগালের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। হোয়াইট হাউসও সাবেক মডেলের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যাকডোগাল বলেন, আমি দুঃখিত, এরকমটা হোক, আর চাই না। যখন আমি পেছনে তাকাই, আমি জানি সেসময় আমি ভুল করেছি। ওই ঘটনার জন্য সত্যিই দুঃখিত আমি। আমি জানি, সেটা ভুল ছিল।
আবেগাক্রান্ত কণ্ঠে সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপারকে এমনটাই বলেন সাবেক এই প্লেবয় মডেল।
ট্রাম্পের সঙ্গে ওই সম্পর্কের কথা খুলে বলতে সাবেক এ প্লেবয় মডেলের সঙ্গে ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকুয়েরারের এক লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি চুক্তির খবর দিয়েছিল মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
যদিও সে সম্পর্কিত কোনো নিবন্ধ এখনও প্রকাশিত হয়নি।
ম্যাগডুগাল বলছেন, সম্পর্কের ব্যাপারে চুপ রাখতে তার সঙ্গে চালাকি করা হয়েছিল। চুক্তি বাতিলে মামলার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ও যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা নারীদের মধ্যে কারেন ম্যাকডোগাল ছাড়াও আছেন স্টিফানি ক্লিফোর্ড ও সামার জারভোস।
এক যুগ আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলার পর এটাই ছিল কারেন ম্যাকডোগালের প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকার।
খবর- বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের