‘ফুটপাতে কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় থাকতে পারবে না’
ই- বার্তা ডেস্ক।। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন যে,, জনগণকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের স্বার্থে কোনো কিছু করতে দেয়া হবে না। জনগণ সবার আগে। আমরা ফুটপাতে কোনো রকম অবৈধ দখল দেখতে চাই না। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের সব জায়গায় ডিএনসিসি অভিযান পরিচালনা করবে।
আজ রোববার রাজধানীর উত্তরায় ফুটপাত দখলমমুক্ত করতে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ থেকে শুরু করে, গরীবে নেওয়াজ এভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি, রাজলক্ষ্মী এবং মাসকট প্লাজার পিছনে ৩৫ নম্বর সড়কের ফুটপাত ও সড়ক থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
মেয়র বলেন, অনেকে ফুটপাত দখল করে অবৈধ বাণিজ্য করছে, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অফিস নির্মাণ করেছে। যদিও সিটি করপোরেশন সুন্দর সুন্দর রাস্তা তৈরি করে, পথচারীদের জন্য ফুটপাত তৈরি করে, কিন্তু ফুটপাত দখল করে বাণিজ্য করায় জনগণ ফুটপাত ব্যবহার করতে পারে না। তাই তারা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে, ফুটপাতে কোনো রকম বাণিজ্য চলবে না, কোনো রকম রাজনৈতিক কার্যালয় থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের ফুটপাতগুলো মুক্ত করে দেবেন। মানুষ ফুটপাত দিয়ে হাঁটলে রাস্তায় গাড়ি নির্বিঘ্নে চলতে পারবে, কোনো যানজট থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতির বিরূদ্ধে জিরো টলারেন্স, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের সবাইকে এই শহরটাকে ভালোবাসতে হবে, এই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। ফুটপাতে হকাররা আছে, অনেক বড় বড় মার্কেটের সিঁড়ি রয়েছে ফুটপাতের ওপর। জনগণকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের স্বার্থে কোনো কিছু করতে দেয়া হবে না। আজকে উত্তরা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের সব জায়গায় ডিএনসিসি অভিযান পরিচালনা করবে। আমরা ফুটপাতে কোনো রকম অবৈধ দখল দেখতে চাই না। এখন সময় হয়েছে ফুটপাতগুলো জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার। আজকের উচ্ছেদের ওপর আগামীকাল পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। পরশু আবারও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে দেন ডিএনসিসির চার নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট- আমিনুল ইসলাম, সাজিদ আনোয়ার, আব্দুল হামিদ মিয়া ও জুলকার নায়ন। এছাড়াও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।