বক্তব্যকে বিকৃত না করার অনুরোধ জানালেন আল্লামা শফি
বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরও বলেন, কারো বক্তব্যকে ব্যাখ্যা দিতে হলে আপনাকে তাঁর কথা বুঝতে হবে। অনুধাবন করতে হবে। না বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করানো একধরণের অপরাধ। আর খন্ডিত বক্তব্যকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা আরো বড় অপরাধ। কোন কিছু লিখতে চাইলে সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তাশীল হয়ে সঠিক কথাটি লিখবেন।
তিনি আরও মন্তব্য করে বলেন, একটি মহল আমাকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। আমাকে নারী বিদ্বেষী, নারী শিক্ষা বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমি এসব কথার জবাব দিয়েছি। জবাবটি ভালোভাবে পড়ুন এবং বুঝার চেষ্টা করুন। মিথ্যাচার করবেন না।
তিনি নারীদের শিক্ষা ব্যাবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি আবারও বলছি, নারীদের জন্যে নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করুন এবং তাদের জীবন ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কেউ কারো কন্যাকে অনিরাপদ পরিবেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। কারণ, দৈনিক পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন চোখে পড়ছে কোথাও না কোথাও কোন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অথবা খুন করা হয়েছে। নৈতিকতা অর্জন না হলে ধর্ষণ, খুন ও উত্যক্তকরণ বন্ধ হবে না। নারীর প্রতি বৈষম্যতা দূর হবে না। ইসলামই ফিরিয়ে দিয়েছে নারীর প্রকৃত সম্মান। কিন্তু কেউ কেউ আমার খণ্ডিত বক্তব্যকে ভুলভাবে প্রচার করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে হেফাজত আমির সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, এসব হীন কাজ করবেন না। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবেন না। আমার কথার সারাংশ হলো উচ্চশিক্ষা কিংবা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চাইলে বোরকা গায়ে দিয়ে পড়বে এবং তাদের শিক্ষকও মহিলা হতে হবে বলে তিনি তার বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেন।
ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম