বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে ঃ ওবায়দুল কাদের
ই-বার্তা ।। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৬ বছরের অভিযাত্রা: নির্বাচনের বছরে নির্মূলের আন্দোলন- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সংলাপের দাবি উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডায়ালগের প্রয়োজন নেই। পথরেখা সংবিধানই দিয়ে দিয়েছে। তারা আসলে আন্দোলনেও ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ। শেখ হাসিনা আপনাদের সংলাপের জন্য ডাকেননি? গণভবনে আমন্ত্রণ জানাননি? জবাবটা কীভাবে অশ্রাব্য কুরুচিপূর্ণ ভাষায় দিয়েছেন এটা জাতি জানে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে আমাদের অর্জিত অনেক কিছু বর্জিত হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আর মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানের দিকে ধাবিত হবে।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিতের প্রসঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশনারের বক্তব্যে বিএনপি পঞ্চমুখ হয়েছিল, এখন একটু স্বার্থে লাগলেই তারা কুণ্ঠিত হন। আসলে বিএনপি যে কোনো কিছু নিয়ে একটা মন্তব্য করবেই। যারে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনই বিএনপি পাবে এমন নিশ্চয়তা পেলে তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে আর কোনো কথা বলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারদলীয় লোকের অপকর্মের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না দাবি করে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে মেয়র আইভী ও শামীম ওসমানের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেত্রী পরিষ্কার আমাকে বলে দিয়েছেন, তদন্ত কর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ কর। অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয়।
২৬ বছরের অভিযাত্রা ও নির্বাচনের বছরে নির্মূল কমিটির আন্দোলন- নামে ব্যানারে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি সামসুল হুদা।
বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, শাহীন রেজা নূর, ডা. নূজহাত চৌধুরী, শমী কায়সার প্রমুখ।