বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী, যানচলাচল বন্ধ

ই-বার্তা।। বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

মিরপুর, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, মিরপুর, সায়েন্সল্যাব ও উত্তরায় বিক্ষোভ চলছে। শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর ও মোবাইল কোর্টের অভিযান এড়াতে রাজধানীর প্রায় সব রুটেই বাস চলাচল সীমিত বা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১০ এ জড়ো হতে থাকেন। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মিরপুর-১৪ নম্বর যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে মিরপুরের শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সারজ ইন্টারন্যাশনাল এবং ভাষানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। পরে তারা ফের ১০ নম্বরে এসে সড়কে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বাসচাপায় সহপাঠীদের হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়ক দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

 

পল্লবীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নিজাম যুগান্তরকে বলেন, পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। শিক্ষার্থীরা একটা মিছিল নিয়ে গেছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা উত্তরার হাউস বিল্ডিং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করছেন। তবে সেখানে এ পর্যন্ত কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। উত্তরা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজার রহমান বলেন, ছাত্ররা দলবদ্ধ হয়ে হাউস বিল্ডিংয়ের সড়কে নেমেছেন। তারা দলবদ্ধ হয়ে বিএনএস সেন্টারের দিকে গিয়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে তারা কোনো গাড়ি ভাঙচুর করেননি। তিনি বলেন, আমরা গাড়ি ডাইভারশনের চেষ্টা করছি।

 

এদিকে শাহবাগের রূপসী বাংলা হোটেল থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। শাহবাগের এডিসি মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করছেন। এদিকে চানখাঁরপুলেও বিক্ষোভ চলছে। রোববার দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মীম নিহত হন। বাসচাপায় আহত হন আরও ১৩ জন। তিনি বলেন, বাংলামোটরের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই তেজগাঁও কলেজের। তবে এখন কেবল শুধু তেজগাঁও কলেজেরই নয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে এসে মিছিলে যোগ দিচ্ছেন।

 

রমনার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তারিকুল আলম বলেন, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন না। তবে তারা গাড়ি ধরে ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন। যার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তাকে ছেড়ে দিচ্ছেন, আর যার নেই তাকে আটকে দিচ্ছেন। তবে তারা কোনো গাড়ি ভাঙচুর করছেন না।এদিকে ঢাকা সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে রেখেছে।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট