বিজিবি-বিএসএফ প্রধানদের বৈঠকে গুরুত্ব পাবে সীমান্ত হত্যা: বাসস
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের ৬ দিনের বৈঠক। কর্মকর্তারা জানান, আলোচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিই।
বিজিবির এক কর্মকর্তা বাসসকে বলেন, সীমান্তে হত্যা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তিনি আরো জানান, এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৩৩ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে।বিজিবির অপারেশন বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বাসসকে জানান, সীমান্তে সহিংসতার বিষয়টিকে সবসময়েই গুরুত্ব দিয়ে দেখে বাংলাদেশ, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলেই সব পর্যায়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়।
সীমান্তে ক্যাম্প পর্যায়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হয়, অন্যদিকে এধরণের ঘটনা বন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়।আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১৫ জন মারা গিয়েছিল। আর এ বছরের প্রথম সাত মাসেই হত্যা করা হয়েছে ২৯ জনকে।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পিলখানায় বিজিবির সদরদপ্তরে হতে যাওয়া এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেক এম শাফিনুল ইসলাম এবং বিএসএফের নতুন মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা।বিজিবির অপারেশনস বিভাগের পরিচালক জানিয়েছেন, সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য চোরাচালান, তারকাটার প্রাচীরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বৈঠকে। এটি দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর অভিন্ন স্বার্থরক্ষা ও সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নিয়মিত বৈঠকের অংশ।
নয়াদিল্লীর সুত্রে জানা গেছে, বিএসএফের দিক থেকে আলোচনার অন্যতম ইস্যু হিসেবে থাকছে গরু চোরাচালান, নকল নোটের ব্যবসা এবং মানবপাচার।ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, বিএসএফের সেক্টর কমান্ডারদের পাশাপাশি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর কর্মকর্তা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবে।
আলোচনা শেষে, বিজিবি ও বিএসএফের প্রধান একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন। ১৯৭৫ সালের পর থেকে দুইবাহিনীর প্রধানের এই নিয়ে ৫০ তম যৌথ বিবৃতি হতে যাচ্ছে এটি।