বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহযোগিতায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে
ই-বার্তা ডেস্ক।। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বতে সিরিজ বোমা হামলায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। শ্রীলঙ্কান প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে দেশটির প্রায় অপরিচিত একটি ইসলামী দলকে। এর সঙ্গে বিদেশি গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।
ইস্টার সানডের দিন রোববার একযোগে কয়েকটি চার্চ ও হোটেলে চালানো এই হামলায় বিমূঢ় হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা। এতে ৩৫ বিদেশিসহ ২৯০ জন নিহত এবং পাঁচশ জন আহত হয়।
বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল টাইগাররা এক দশক আগে উৎখাত হওয়ার পর এমন ভয়াবহ হামলা আর দেখা যায়নি শ্রীলঙ্কায়। হামলার পর অভিযানে সন্দেহভাজন অন্তত ২৪ জনকে আটকের খবর দিয়েছে শ্রীলঙ্কা পুলিশ। তবে তাদের কারও পরিচয় জানা যায়নি।
এক সঙ্গে আটটি স্থানে আত্মঘাতী এই বোমা হামলা চালানোর জন্য শ্রীলঙ্কা সরকার ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত নামে একটি ইসলামী সংগঠনকে দায়ী করছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র মন্ত্রী রাজিথা সেনারত্নে সন্দেহভাজন হিসেবে এই দলটির নাম বলার আগে শ্রীলঙ্কার খুব কম মানুষই দলটির নাম জানত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা তাওহীদ জামায়াতটি মোটামুটি পরিচিত হলেও দলটির নেতা আবদুল রাজিক ২০১৬ সালে বৌদ্ধবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হন, পরে ক্ষমাও চান তিনি। এই ধরনের হামলার আশঙ্কার তথ্য এপ্রিলের শুরুতে বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়েছিল বলে সেনারত্নে জানিয়েছেন। ওই গোয়েন্দা তথ্যে ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতকে নিয়ে ইঙ্গিতও করা হয়েছিল। তবে তা তখন আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
প্রায় অপরিচিত এই দলটিকে সন্দেহ করলেও তাদের সক্ষমতা নিয়ে অনেকের সংশয়ের প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এই হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসূত্র থাকার ইঙ্গিত করেন।
তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়েন্দা প্রতিবেদন ইঙ্গিত করছে যে এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের পেছনে বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে।”
মন্ত্রী রাজিথা সেনারত্নেও বলেন, “আমরা মনে করি না যে এই হামলাগুলোতে শুধু আমাদের দেশের একটি গোষ্ঠীই জড়িত। আন্তর্জাতিক একটি চক্র রয়েছে, যাদের সহায়তা ছাড়া তারা (স্থানীয় সন্ত্রাসী) সফল হত না।”
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু