ভারতীয় সেনাদের বাংলাদেশ দখলে নিতে বললেন হিন্দু নেতা
ই-বার্তা।। ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাবেক নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচিৎ বাংলাদেশের ভূখণ্ডের একটি অংশ দখল করে নেয়া এবং সেখানে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো। বুধবার আসামের গুয়াহাটিতে আন্তর্জাতিক হিন্দু পরিষদের এক অনুষ্ঠানে আসামে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের উদ্দেশ করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ হিন্দু নেতা বলেন, ‘এখানে প্রায় ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। অথচ গত দুই বছরে ফেরত পাঠানো হয়েছে মাত্র ১৭ জনকে। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে- এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় এলেও তারা সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে। তাই বাংলাদেশ যদি তাদের ফেরত নিতে না চায়, তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচিৎ বাংলাদেশি ভূখণ্ডের একটি অংশ দখল করে নেয়া এবং সেখানে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো।আসামে দুই মাস ধরে তাকে জনসভা করতে না দেয়া এবং গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়ার বিষয়ে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে রাজ্য সরকারকেও দোষারোপ করেন এই হিন্দু নেতা। তিনি বলেন, ‘তরুণ গগোইয়ের সরকার এখন আসাম রাজ্য পরিচালনা করছে। তারপরও অবৈধ বাংলাদেশিদের বিতাড়নের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।’
বাংলাদেশিদের বিতাড়নের বিষয়ে আসাম সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়াকে তিনি মুসলিম তুষ্টি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।এদিকে তোগাড়িয়ার এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসাম রাজ্য বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাস বলেছেন, বিজেপি ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্যে করে না। এ ছাড়া মুসলিম তুষ্টির কোনো প্রশ্নই আসে না। তবে রাজ্যে অবৈধ বিদেশিদের খুঁজে বের করতে কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে কোনো চুক্তিও নেই। তাই প্রবীণ তোগাড়িয়া বললেন আর আমরা তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিলাম, সেটা তো হতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ীই আমরা কাজ করব।’এ বিষয়ে গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনার হিরেন নাথ বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, তার এ বক্তব্য সাম্প্রদায়িক ক্যাটাগরিতে পড়ে না। তিনি তার বক্তব্যে হিন্দু বা মুসলিম শব্দ ব্যবহার করেননি। তারপরও আমরা খোঁজ নেব তিনি আসলে তার বক্তব্যে কী বলেছিলেন। এবং সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস