মেসির হাতে রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর
ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলোতে ফাঁস হওয়া তালিকাতেই দেখা যাচ্ছিলো, এবারের ব্যালন ডি অর জিতেছেন মেসি। তবু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগপর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলার সুযোগ ছিলো না।
সোমবার রাতে প্যারিসে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর দেয়া ব্যালন ডি অর পুরষ্কার জয়ীদের নাম। যেখানে সত্যতা মিলেছে ফাঁস হওয়া সেই তালিকার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং ভার্জিল ফন ডাইককে পেছনে ফেলে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি অর জিতে নিয়েছেন মেসি।
গত মৌসুমের সেরা পুরস্কারের লড়াইটা হয়েছে মূলত মেসি ও ফন ডাইকের মধ্যে। গত আগস্টে উয়েফার বেস্ট প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন ফন ডাইক। পরে সেপ্টেম্বরে ফিফা বেস্টের সম্মান পান মেসি। ফলে ব্যালন ডি অর কে পাবেন?- তা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো ফুটবলপ্রেমীদের মনে।
এখানে বাজিমাত করেছেন মেসিই। ব্যালন ডি অরের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা ৪ বার সেরার পুরস্কার জেতার রেকর্ড আগেই গড়েছেন মেসি। এবার তিনি হলেন ছয়টি ব্যালন ডি অর জেতা একমাত্র খেলোয়াড়।
তবে এবারের পুরস্কারটি মেসির একটু ভিন্নই বলা চলে। কেননা তিন বছর পর ব্যালন ডি অর উঠলো তার হাতে। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং ২০১৮ সালে জিতেছিলেন লুকা মদ্রিদ। মেসির ছয় ব্যালন এসেছে যথাক্রমে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে।
এবারের ব্যালনের পুরস্কারে দ্বিতীয় হয়েছেন লিভারপুলের ডাচ তারকা ফন ডাইক আর তৃতীয় হয়েছেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো। এছাড়া সেরা গোলরক্ষক হিসেবে লেভ ইয়াসির ট্রফি জিতেছেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান ‘ওয়াল’খ্যাত অ্যালিসন বেকার।
ব্যালন ডি অরে সেরা ত্রিশ:
১ম: লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা)
২য়: ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস)
৩য়: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস, পর্তুগাল)
৪র্থ: সাদিও মানে (লিভারপুল, সেনেগাল)
৫ম: মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল, মিশর)
৬ষ্ঠ: কাইলিয়ান এমবাপে (পিএসজি, ফ্রান্স)
৭ম: অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল, ব্রাজিল)
৮ম: রবার্তো লেভানডভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ, পোল্যান্ড)
৯ম: বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি, পর্তুগাল)
১০ম: রিয়াদ মাহরেজ (ম্যানচেস্টার সিটি, আলজেরিয়া)
১১তম: ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং (বার্সেলোনা, নেদারল্যান্ডস)
১২তম: রাহিম স্টার্লিং (ম্যানচেস্টার সিটি, ইংল্যান্ড)
১৩তম: এডেন হ্যাজার্ড (রিয়াল মাদ্রিদ, বেলজিয়াম)
১৪তম: কেভিন ডি ব্রুইনে (ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম)
১৫তম: মাথিয়াস ডি লিট (জুভেন্টাস, নেদারল্যান্ডস)
১৬তম: সার্জিও আগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি, আর্জেন্টিনা)
১৭তম: রবার্তো ফিরমিনো (লিভারপুল, ব্রাজিল)
১৮তম: অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান (বার্সেলোনা, ফ্রান্স)
১৯তম: ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড (লিভারপুল, ইংল্যান্ড)
২০তম: পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং (আর্সেনাল, গ্যাবন), দুসান তাদিচ (আয়াক্স, সার্বিয়া) (যৌথভাবে)
২২তম: সন হিউং-মিন (টটেনহ্যাম হটস্পার, দক্ষিণ কোরিয়া)
২৩তম: হুগো লরিস (টটেনহ্যাম হটস্পার, ফ্রান্স)
২৪তম: কালিদু কলিবালি (নাপোলি, সেনেগাল), মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান (বার্সেলোনা, জার্মানি) (যৌথভাবে)
২৬তম: করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স) জর্জিনিয়ো ভিনালডাম (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস) (যৌথভাবে)
২৮তম: জোয়াও ফেলিক্স (অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, পর্তুগাল), মার্কুইনহোস (পিএসজি, ব্রাজিল) ও ডনি ফন ডি বিক (আয়াক্স, নেদারল্যান্ডস) (যৌথভাবে)