রাজনীতি নিয়ে সাকিবের খোলামেলা বক্তব্য

ই-বার্তা ডেস্ক ।। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। টেস্ট ও ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে শীর্ষ এ অলরাউন্ডার আইপিএল খেলতে অবস্থান করছেন ভারতে। সেখানেই ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই -এর সঙ্গে আলাপচারিতায় খোলামেলা কথা বলেন রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে।

 

সাকিবের সেই আলাপচারিতা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

 

৩১ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ভাবনা আছে কি না? সাকিবের জবাব, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। আমি বর্তমান নিয়েই থাকতে চাই। কিন্তু কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে (রাজনীতি) এখনো ভাবিনি, তাই এটা নিয়ে এখন কথা বলাও কঠিন। ক্রিকেট আমার জীবন এবং মনোযোগটা শুধু এখানেই (ক্রিকেট) থাকবে।’

 

উল্লেখ্য, নিদাহাস ট্রফির আগে সপরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্ট শেষে দাওয়াত পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির। সপরিবার বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির দাওয়াত রক্ষা করেছিলেন সাকিব। তখন থেকেই অনেকের প্রশ্ন, ক্রিকেট ছাড়ার পর সাকিব কি রাজনীতিতে আসতে পারেন?

 

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে প্রধানমন্ত্রীর অফিশিয়াল বাসভবন গণভবনে সপরিবার যাওয়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘এটা ছিল সৌজন্যসাক্ষাৎ। তিনি ক্রিকেট খুব পছন্দ করেন এবং খেলোয়াড়দের সব সময় উৎসাহ দেন।’

 

উল্লেখ্য, সাকিবের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করণে এক নম্বর অল-রাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৪,০০০ করার গৌরব অর্জন করেন। তিনি টি২০তে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ রান পূর্ণ করেন৷ এছাড়া দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টি২০তে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট লাভ করেন৷

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক