‘রুটিন’ অভিযানে আতঙ্কে কাশ্মীরের বাসিন্দারা
ই-বার্তা ডেস্ক।। সরকারের দাবি, নেহাতই ‘রুটিন’ বিষয়। কিন্তু পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে তা থেকেই বারবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কাশ্মীরে। দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ, অনেক আতঙ্কই ঘুরপাক খাচ্ছে উপত্যকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
গত রাতে অভিযান চালিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা-সহ অন্তত ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে বাহিনী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট নেতা ইয়াসিন মালিক ও জামাত-ই-ইসলামি নেতা আব্দুল হামিদ ফয়েজ। পাশাপাশি কাশ্মীরে আরও ১০০ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই বাহিনীকে আকাশপথে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৪ বছর পরে কাশ্মীরে মোতায়েন হতে চলেছে বিএসএফ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র বলছে, ভোটের আগে এটাও ‘রুটিন’ বিষয়।
পুলিশের অবশ্য দাবি, গ্রেফতারি নেহাতই ‘রুটিন’ পদক্ষেপ। আগেও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও পাথর ছোড়ায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র কর্তারা স্বীকার করছেন, জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে এই প্রথম বড় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনও ভোটের আগে ‘রুটিন মহড়া’।
রাতের গ্রেফতারির খবর পাওয়া মাত্রই আজ পেট্রোল পাম্প, ওষুধের দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানে ভিড় জমান কাশ্মীরিরা। শ্রীনগরের সনানতনগরের বাসিন্দা মুদাসির মহম্মদ বললেন, ‘‘মনে হচ্ছে লড়াই শুরু হতে পারে। তাই জ্বালানি, ওষুধ, খাবার মজুত রাখা ভাল।’’ লাল চকের এক পেট্রোল পাম্প মালিক বলেন, সকাল থেকে কয়েকশো গাড়িতে পেট্রোল ভরেছেন। তাঁর মতে, ‘‘কী হবে সেটাই কেউ বুঝতে পারছে না।’’ শ্রীনগরের মেডিক্যাল কলেজে বাতিল হয়েছে সব কর্মীর শীতকালীন ছুটি।
গত কাল রাত দেড়টা পর্যন্ত বায়ুসেনার বিমানের ওড়ার শব্দে আতঙ্ক আরও বাড়ে। বায়ুসেনা অবশ্য জানিয়েছে, ‘রুটিন’ মহড়া হয়েছে। আবার রাজৌরি, কেরন ও কারনার মতো এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছে সেনা। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের মতে, পুলওয়ামা হামলার পর থেকে পাকিস্তানি গোলাবর্ষণ বেড়ে গিয়েছে। তাই বাসিন্দাদের অল্প সতর্ক হয়েছে। সবই ‘রুটিন’ বিষয়। কিন্তু আতঙ্কটা থেকেই যাচ্ছে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু