রুমিনের বক্তব্যে আবারো উত্তপ্ত সংসদ
ই- বার্তা ডেস্ক।। জাতীয় সংসদে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় এবং একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তার বক্তব্যে একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তার বক্তব্য বিরোধিতা করে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা উত্তপ্ত হন। এমনকি সংসদে সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াও রুমিনকে বারবার থামিয়ে দিয়ে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার না করার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এখানে যারা আছেন তারা আল্লাহকে হাজির-নাজির করে বলুন, নির্বাচন কীভাবে হয়েছে? তারা ক’জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন? কীভাবে এই সংসদে এসেছেন সেই প্রশ্ন বিবেকের কাছে করুন। আমাদের কথা বলতে দেওয়া হবে বলে এই সংসদ নির্বাচিত নয় জেনেও এসেছি। ভেবেছিলাম সংসদে একটি জায়গা পাবো যেখানে দেশের কথা, জনগণের কথা বলতে পারবো। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, এই তিনশ’ আসন- যেটা লুট করে নেওয়া হয়েছে। তাদের এতটুকু ধৈর্য নেই, আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সংসদে আসার সময় আমাদের বলা হয়েছিল আমরা আমাদের কথা বলতে পারবো, সংসদ সদস্যরা কথা ধৈর্য সহকারে শুনবেন। সংসদ নেতা এটা বলেছিলেন। কিন্তু আমার প্রথম দিনের বক্তব্যের সময় এক মিনিটও শান্তিতে কথা বলতে পারিনি। একই ঘটনা আজকেও ঘটছে। যদি তাই হয় তাহলে কোন গণতন্ত্রের কথা আমরা বলছি, কোন বাকস্বাধীনতার কথা বলছি। কোন সংসদের কথা বলি- এভাবে একটি সংসদ চলতে পারে না। আমি আমার দলের কথা বলবো, তারা তাদের দলের কথা বলবেন। কিন্তু আমি উঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ৩০০ সদস্য যদি মারমুখী হয়ে যান তাহলে কী করে বক্তব্য রাখবো?’
এ সময় ডেপুটি স্পিকার রুমিনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি এমন কোনও কথা বলবেন না যাতে অপর পক্ষ উত্তেজিত হবে এবং সংসদ পরিচালনায় ব্যত্যয় ঘটবে। আমি চাই সংসদ প্রাণবন্ত হোক। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির বাইরে কোনও কথা বলবেন না। আপনি এমন কোনও কথা বলবেন না যা এক্সপাঞ্জ (প্রত্যাহার) করতে হয়।’ একপর্যায় তাকে বসতেও বলা হয়। তবে তার মাইক বন্ধ করা হয়নি।
ই- বার্তা/ হাসিবুল করিম