শেষ ধাপে শেষ লড়াই মোদির
ই-বার্তা।। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস আগে লড়াইটা শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে করেই হোক আরেকবার ক্ষমতায় ফিরতে হবে- প্রথম থেকেই ছিল সেই তাগিদ।
নিজের জয়ের সঙ্গে দলেরও। সে লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রচারণার মাঠে। হাতে সেই পুরনো অস্ত্র- হিংসা, বিদ্বেষ আর বিভাজন। এগুলোকে পুঁজি করেই ভোটের এক মাসের মধ্যে একে একে দুইশ’র বেশি সভা-সমাবেশ শেষ করেছেন তিনি।
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সপা-বসপা মহাজোট- একটার এক একটা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা। এভাবেই শেষ হয়ে গেল ষষ্ঠ ধাপের ভোট।
আর মাত্র পাঁচদিনের অপেক্ষা। এরপর ১৯ মে সপ্তম ও শেষ ধাপের লড়াই। তবে এ শেষ লড়াই যতটা না দলের তার চেয়ে বেশি তার নিজের জন্য।
কারণ এ ধাপেই উত্তরপ্রদেশের বারানসি আসনে ভাগ্য নির্ধারণ হবে মোদির। ষষ্ঠ ধাপের পর এবার হিমাচলপ্রদেশ, পাঞ্জাব, চণ্ডিগড়ের পাশাপাশি বিহারের ৮টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, উত্তরপ্রদেশের ১৩টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে ভোট বাকি।
আটটি রাজ্যের ৫৯টি আসনে ভালো ফল করতে এখন মরণ কামড় দিতে প্রস্তুত সব দলই। শেষ ধাপে মূলত পরীক্ষায় বসতে চলেছেন মোদি। শুরু থেকে দুটি আসনে লড়ার জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত শুধু বারানসিকেই বেছে নেন তিনি। প্রিয়াংকা গান্ধী সরে আসায় কাশী জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তার। কিন্তু তার পরীক্ষাটা তো মোটেই নিজের আসন ধরে রাখা নয়।
ব্যাপার হল ‘মোদি হাওয়া’। গতবার বারানসি থেকে মোদিকে আচমকাই প্রার্থী করে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিজেপি।
লোকসভা ভোটের আগেও মোদি নিজেও বারবার বলেছেন, ‘পাটিগণিত নয়, রসায়নই ভোটের ফল নির্ধারণ করবে।’ কিন্তু এবার মায়াবতী-অখিলেশের জোট হয়ে যাওয়ার পরে পাটিগণিত অনেকটাই বিজেপির বিপক্ষে।
ষষ্ঠ ধাপের ভোটের পর শুধু উত্তরপ্রদেশ নিয়েই বিরোধী শিবিরের দাবি, ১৪টির মধ্যে অন্তত ১০টি পাবে এসপি-বিএসপি জোট।
বিজেপি নেতাদেরই একাংশ কবুল করছেন, উত্তরপ্রদেশে ৩০টি আসন হাতছাড়া হতে পারে। যদি তাই হয়, সে ক্ষেত্রে বিজেপির দাবি অনুযায়ী আসন বাড়বে কোথা থেকে? সে প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। গত ভোটে গুজরাট, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়েছিল বিজেপি। বর্তমানে কংগ্রেসশাসিত তিনটি-সহ ওই রাজ্যগুলোতে এ বার আর তত আসন পাওয়া যাবে না বলে ধরেই নিচ্ছে তারা। ভরসা তাই পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো।