শোক ও শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
আজ ৩রা নভেম্বর। শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩রা নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এরপর বনানী কবরস্থানে নিহত জাতীয় চার নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন নেতা-কর্মীরা।
এরপর বিকাল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অনশগ্রহণ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
উল্লেখ্য,দিনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।