সিরিয়া ইস্যূতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ট্রাম্প-এরদোগান
ই-বার্তা ডেস্ক।। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাথে সিরিয়া ইস্যুতে ফোনে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনে দুই প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যৌথ বাহিনী গঠন এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরের ট্রাম্প এক ঘোষণায় সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান। এর কিছুদিন পর এরদোগান জানান, সিরিয়ায় রয়ে যাওয়া অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে তার দেশ। তুরস্কের এ সিদ্ধান্তে অস্থিরতা শুরু হয় ওয়াশিংটনে। কারণ সিরিয়ায় তারা লড়াইয়ের সময় সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস এর সহায়তা নিয়েছিল। তুরস্ক দাবি করে, এই দলটি তুরস্কে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় পিকেকের নাম থাকলেও দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তাদের সাহায্যই নিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। আঙ্কারা অস্ত্র কিনতে চাইলে তা উপেক্ষা করে ন্যাটো। অথচ সন্ত্রাসীদের সমর্থনে তারা হাজার হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিচ্ছে। গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে এক নির্বাচনীয় প্রচারণায় এ অভিযোগ করেন এরদোগান।
ন্যাটোর প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ন্যাটো কোন ধরনের জোট। ইরাকের মাধ্যমে ন্যাটো সন্ত্রাসীদের ২৩ হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তুরস্ক যখন তাদের কাছে অস্ত্র চায়, তখন অর্থের বিনিময়েও তা দিতে রাজি হয় না ন্যাটো।
ওই সমাবেশে এরদোগান এরদোগান আশা প্রকাশ করেন, তুরস্ক শীঘ্রই সিরিয়ার মানবিজ অঞ্চল ‘সন্ত্রাসীদের’ কাছ থেকে দখলমুক্ত করে স্থানীয়দের কাছে ফিরিয়ে দিবেন। ২০১৬ সাল থেকে মানবিজ কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট এর মিলিশিয়া বাহিনী মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স এর দখলে রয়েছে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু