সুন্দরবনের দুবলার চরে আঘাত হেনেছে বুলবুল
ই- বার্তা ডেস্ক।। সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ আঘাত হানতে শুরু করেছে। দুবলার মাঝেরচর থেকে জেলেরা মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ১০/১৫মিনিট ব্যাপী ঝড়োবাতাস বয়ে গেছে।
দুবলা ফিশার মেন গ্রুপের হিসাব রক্ষক ফরিদ আহমেদ জানান, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে সিডর এভাবেই প্রথমে আঘাত হানে এবং বিকাল থেকে তা প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে দুবলার চরের জেলে পল্লী গুলো তছনছ করে দেয়। সিডরের মতই বুলবুলের গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুবলা ফিশার মেন গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার ভোর থেকে অফিসকিল্লা, মাঝেরচর, আলোরকোল, মরণেরচর প্রভৃতি এলাকার অস্থায়ী জেলে ঘরে অবস্থানরত জেলেদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ কাজে র্যাব, কোস্টগার্ড, বনবিভাগ ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা এবং জেলেদের তরুণ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। এ এলাকার পাঁচটি সাইক্লোন শেল্টার এবং শত শত ট্রলার ও জেলে নৌকায় ছয় হাজারেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আলোরকোল, মেহেরআলীর খাল, ভেদাখালীর খাল ইত্যাদি খালে এ জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে। জেলে পল্লীগুলোর বাসিন্দাদের অনেকটা জোর করে নিরাপদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে শুকনা খাবার, চাল ভাজা, চিড়া ও খাবার পানি।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ ও কক্সবাজার ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যায় বাগেরহাটে আঘাত হানতে পারে। এসময় বাতাসের গতিবেগ কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার থাকতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার বা তার বেশি থাকতে পারে। সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করা শুরু করলে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটা উপকূল অতিক্রম করে যাবে।