অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে শ্রীমঙ্গল শহরে

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   শ্রীমঙ্গল শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নেপথ্য কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে জ্বালানি তেলের ডিপো তিনটির মাঝামাঝি অবস্থান দিয়ে বয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন ইয়ার্ডে কনটেইনার ভর্তি জ্বালানি তেল খালাসের অপেক্ষায় থাকে প্রায়শ।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ডিপোর গেটে ও সামনে মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানে সব সময় মজুদ থাকে এলপি গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার।

এ ছাড়াও শ্রীমঙ্গল শহরবাসী মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এর আগেও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এলাকাবাসীর ত্বরিত পদক্ষেপের কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পাশাপাশি অবস্থানে থাকা তিনটি ডিপো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাশাপাশি অবস্থানে থাকা ডিপো তিনটিতে পেট্রল ধারণক্ষমতা ৮ লাখ ৬৬ হাজার লিটার, অকটেন ৯ লাখ ৮৫ হাজার লিটার, ডিজেল ১৯ লাখ ২৭ হাজার লিটার ও কেরোসিন ধারণক্ষমতা ১৩ লাখ ৯ হাজার লিটার। অবশ্য সব সময় ধারণ ক্ষমতানুসারে জ্বালানি তেল মজুদ থাকে না।

জানতে চাইলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ডিপো সুপার তার ডিপোর পাশে চারটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও গুদাম রয়েছে স্বীকার করে জানান, এসব দেখার দায়িত্ব মূলত সিলেটের সিনিয়র সেলস অফিসারের। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সিনিয়র সেলস অফিসার বলেন, ডিপোর নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব ডিপো সুপারের। তিনি কোথাও নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে আমাকে জানাতে পারেন। সে হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের শ্রীমঙ্গলের ডিপো সুপার ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো সুপার জানান, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার গুদামজাত করে মজুদ রাখার ব্যাপারে যে আইন ও বিধিমালা রয়েছে তা ডিলাররা মানছেন না। বিভিন্ন সময়ে তাদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না।

এলপি গ্যাস প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ডিলাররা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নিলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিলিন্ডার মজুদে আইন অনুসরণ করছেন না। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর ‘দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪-এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে ‘লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি মজুদ করা যাবে না’ উল্লেখ আছে।

 ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া