অঙ্কিতাই চ্যাম্পিয়ন, তৃতীয় নোবেল

ই-বার্তা।।  দুই বংলার জনপ্রিয় সংগীত বিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘সা রে গা মা পা’র এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ওপার বাংলার উত্তর চব্বিশ পরগনার মেয়ে অঙ্কিতা এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন বাংলাদেশের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল। 

রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। সা রে গা মা পা-এর এবারের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাঁরা নির্বাচিত ছিলেন সুমন মজুমদার, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, গৌরব সরকার, নোবেল, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, প্রীতম রায়। বিজয়ী অঙ্কিতা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২ লাখ রুপি ও একটি নতুন গাড়ি।

‘সা রে গা মা পা’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারতের কলকাতা আর বাংলাদেশে দারুণ পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। তাঁকে বলা হয় ‘বিস্ময় বালক’। এই বিশেষণটি বেশির ভাগ সময়ই এসেছে প্রতিযোগিতার বিচারকদের কাছ থেকে। তবে তাঁদের উচ্ছ্বাস এবং দর্শকের ভোটে এগিয়ে থাকলেও গানের প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত প্রথম হতে পারেননি এই তারকা।

গত বছর সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। ভারত থেকে নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল আহসান নোবেল। বাকিরা নানা ধাপে ছিটকে গেলেও গোপালগঞ্জের নোবেল জায়গা করে নেন চূড়ান্তপর্বে।

পুরো আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র ও মোনালি ঠাকুর।

শেষ দিন নোবেল শেষ গান হিসেবে গেয়েছেন প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা আর জেমসের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি আরও গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি’ এবং প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গান দুটি।

গোপালগঞ্জের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল বড় হয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। লেখাপড়া করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতে। মাথায় গানের পোকা ঢোকে কলকাতায়। মাত্র ৬০০ টাকায় পুরোনো সিগনেচার ব্যান্ডের গিটার কিনে তা দিয়েই শুরু করেন সংগীতচর্চা। কলকাতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে ২০১৪ সালে ঢাকায় ফেরেন নোবেল।