অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি
ই-বার্তা ডেস্ক।। গতকালকের ম্যাচে বাংলাদেশ শোচনীয় হারের লজ্জায় পড়লেও অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে গতকালকের দিনটা কে তিনি মনে রাখতেই পারেন। কারণ, নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে শততম বারের মতো তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নামেন ম্যাশ।
মাশরাফির অধিনায়কদের এই এলিট লিস্টে ৪০ তম। তবে, মাশরাফির এই কীর্তিটা আহামরী কিছু না হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এবারই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি অধিনায়ক যোগ হলেন এই তালিকায়।
এর মধ্যে অধিনায়ক হিসেবে গতকাল ৭১তম ওয়ানডে খেলেন মাশরাফি। আর অবসর নেওয়ার আগে ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা এই অধিনায়ক। অধিনায়ক মাশরাফির শুরুটা কিন্তু হয়েছিল টেস্ট দিয়ে। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে নেমেছিলেন। যদিও, দ্বিতীয় দিনেই ইনজুরির কারনে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির পরেই আছেন মুশফিকুর রহিম। ৯৪ ম্যাচে অধিনায়ক্ত্ব করেছেন তিনি। এর পরেই তিন ফরমেটে ৮৭টি ম্যাচে বাংলাদেশের নেতা ছিলেন আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
মাশরাফি যে ১০০টা ম্যাচ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাতে সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী। কারণ তিনি এর মধ্যে জিতেছেন ৫১টি ম্যাচ। হেরেছেন ৪৬টি ম্যাচ। কিন্তু স্মরণীয় এই ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখা হলো না মাশরাফির। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল হেরে গেল আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আর মাশরাফি নিজেও ৮.৩ বলে ৩৩ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন ৩২২টি ম্যাচ। ৩০০’র বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করাদের মধ্যে ধোনি সাথে আছেন আরও দু’জন। তারা হলেন—অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (৩২০) ও নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং (৩০৩)।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু