অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ব্রেক্সিট ইস্যুতে হেরে গেলও অনাস্থা ভোটে জিতে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তেরেসা মে।  ১৯ ভোটের ব্যবধানে এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে টিকে গেলেন তিনি। 

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মে’র প্রতি আস্থার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩২৫ জন।  অনাস্থা জানিয়েছেন ৩০৬ জন।  এর আগে মঙ্গলবার ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ আলোচনার পর এক ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি।  এই প্রথম দেশটির কোন ক্ষমতাসীন সরকার পার্লামেন্টে এত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।  প্রস্তাবটি বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩২ জন সংসদ সদস্য, যেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০২ জন।

২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসে।  সে অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা।  এ অবস্থায় পরবর্তী সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে জোটটির সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যে চুক্তি হয়েছিল সেটার অনুমোদনের বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই ভোটাভুটি হয়।

পার্লামেন্টে বিরোধীদলের সদস্যদের পাশাপাশি নিজ দলের ১১৮ জন এমপি বিরোধীদলের সঙ্গে মে’র চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।  তার পরপরই তেরেসা মে’র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন।  তেরেসা মে’র প্রশাসনকে ‘জম্বি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেরেসা মে সরকার পরিচালনার সব ধরনের অধিকার হারিয়েছেন।

তবে অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর তেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিটের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসতে তিনি অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

আস্থা ভোটে টিকে থাকার প্রতিক্রিয়ায় মে এমপিদের বলেন, “গণভোটের ফলাফল অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দেশের জনগণকে দিয়েছেন সেটা তিনি পূরণ করতে কাজ চালিয়ে যাবেন।”

ব্রেক্সিটের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বুধবার রাত থেকেই সব পার্টির নেতাদের সাথে আলাদা বৈঠক করারও আমন্ত্রণ জানান।  এসময় তিনি সবার কাছে “গঠনমূলক মনোভাব” নিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মে বলেন, “আমাদের এমন একটি সমাধানে আসতে হবে যেটা আলোচনা সাপেক্ষ এবং পার্লামেন্টের জন্যও সহায়ক হবে।”

 সূত্র: বিবিসি।

ই-বার্তা/ মোঃ সালাউদ্দিন সাজু