অনেকবার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলাম

ই-বার্তা।।  ‘দঙ্গল’, ‘সিক্রেট সুপারস্টার’এ নিজের অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ করেছেন অসংখ্য দর্শককে৷ মাত্র ১৭ বছর বয়সেই দুটি ব্লকবাস্টার মুভি তাঁর ঝুলিতে৷ প্রথম ছবিই পারফেকশনিস্ট আমির খানের সঙ্গে৷ তবে এই চরম সাফল্যেকে ছোঁয়ার আগে ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন জায়রা ওয়াসিম৷

বিষন্নতা এমন তীব্রভাবে ঘিরে ধরে তাঁকে যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জায়রা৷ মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রথম প্যানিক অ্যাটাক হয় তাঁর৷ তারপরই ডিপ্রেশন, নার্ভাস ব্রেকডাউন, মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে সে৷ কখনও বেশি ঘুমনোর জন্য অসুস্থতা তো কখনও কম ঘুমনোর জন্য শারিরীক-মানসিক চাপ, আবার কখনও অনাহারে থাকা৷ চার বছরেরও বেশি সময় এমনভাবেই কাটিয়েছেন এই ‘দঙ্গল গার্ল’৷ সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকউন্টে ব্যক্ত করলেন ব্যক্তিগত জীবনের এই সত্য৷

জায়রা লেখেন, ” আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে, ১২ বছর বয়সে প্রথম প্যানিক অ্যাটাক হয় আমার৷ সেসময় ‘প্যানিক অ্যাটাক’ শব্দটার সঙ্গে পরিচিতও ছিলাম না৷ প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলাম যখন বুঝতে পারি, আমি ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷ কিন্তু তার থেকেও বেশি আঘাত পাই যখন দেখি, সবাই ব্যাপারটাকে খুবি সামান্য সমস্যা বলে উড়িয়ে দিচ্ছে৷ কেউ মানতেই চাইতো না যে আমি বিষন্নতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷ সবার মুখে খালি একটাই কথা, ‘এটা ডিপ্রেশনের বয়স না৷ ডিপ্রেশন আসে ২৫শের পরে৷ এটা যাস্ট একটা ফেজ৷ খুব তাড়াতাড়িই কেটে যাবে৷’

সবার কথা মতো আমিও নিজেকে সেইভাবে বোঝাতে লাগলাম৷ চার বছর ধরে আমি ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করে চলেছি৷ গত চার বছর ধরে চলছে এই স্ট্রাগেল৷ আমার নিজেরও মনে নেই দিনে কতগুলো করে ঔষুধ খেতাম, কতবার প্যানিক অ্যাটাক আসত৷”

এই সময়ে এমনও মূহুর্ত গিয়েছে যখন জায়রা হ্যাল্যুসিনেট করতেন৷ কখনও কখনও তাঁর শারিরীক এবং মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যেত যে মাঝরাতে তাঁকে নিয়ে হাসপাতাল ছুটতে হত৷ এক সময় ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে এতটাই ভেঙে পড়েন যে আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন৷

তবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, আজ এসবের ঊর্ধ্বে জায়রা৷ নিজের অসুস্থতাকে স্বীকার করে গর্বের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন নায়িকা৷ পোস্টটিতে তিনি সেই প্রত্যেকটি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যাঁরা সেই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাড়িয়েছিল৷