অবশেষে শুরু হল জ্যোতির ‘শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষ্মী’ সিনেমা

ই-বার্তা।।  ঢাকার প্রশংসিত টিভি অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি কলকাতার ছবিতে অভিনয় করছেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাজলক্ষ্মী’র ভূমিকায়। ছবির নাম ‘শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষ্মী’। এতে তার সঙ্গে শ্রীকান্তের ভূমিকায় থাকছেন সেখানকার ঋত্বিক চক্রবর্তী। পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। এসব খবর বেশ পুরনো।

এরপর গেল মার্চ-এপ্রিল থেকে জ্যোতিকা জ্যোতিকে ঢাকা-কলকাতার আকাশপথে ওড়াউড়ির মধ্যেই দেখা গেছে। মেলেনি শুটিংয়ের খবর। ওড়াউড়ির কারণ হিসেবে বলে বলে ক্লান্ত হয়েছেন, ‘শুটিংয়ের মিটিং, রিহার্সেল আর নিজেকে প্রস্তুত করার জন্যই আমার এই আসা-যাওয়া। আশা করছি, শুটিং হবে শিগগিরই।

 এমন আশ্বাসের পরেও অনেকের মনে দ্বিধা জন্মেছিল, শেষ পর্যন্ত জ্যোতিকা জ্যোতির কলকাতার ক্যামেরা ওপেন হবে তো! যার আশায় এতদিনে ঢাকাই নাটকের বাজারটাও ছেড়েছেন প্রায়।

অবশেষে এসেছে জ্যোতির মাহেন্দ্রক্ষণ। (২০ ডিসেম্বর) সরাসরি কলকাতার শুটিং স্পট থেকেই  জানালেন খবরটি। উচ্ছ্বাস নিয়ে বললেন, আমাদের শুটিং শুরু হলো আজ (বুধবার) থেকে। টেনশনে গেল রাত পুরোটা ঘুমাতে পারিনি। মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুটিং করছি।

দম নিয়ে বলে যাচ্ছেন, আসলে খুব পারফেক্টলি কাজটা করতে চাই। তাই টেনশনটা বেশি। কিন্তু আমার ডিরেক্টর, শুটিং টিম আর কো-আর্টিস্টরা এত হেল্পফুল, আমাকে এতটাই আপন করে নিচ্ছেন যে শুটিং শুরু করার পর টেনশন কমে গেছে। একটা অসাধারণ টিম পেয়েছি। আর খুব ভাল্লাগছে এখানে শুট করতে।

জ্যোতি জানান, আজ সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক তার দিকে তাক করে কলকাতার কাঙ্ক্ষিত ক্যামেরাটি ওপেন হয়েছে। যেখানে তিনি দাঁড়িয়েছেন রাজলক্ষ্মী রূপে। কলকাতা শহরের আশেপাশের নানামাত্রিক পথে-ঘাটে সারাদিন শুটিং করেছেন তারা। 

 

জানা গেছে, এই ছবিতে হাল আমলের শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষ্মীকে পাওয়া যাবে। এদিকে জ্যোতিকা জ্যোতি এই ছবির শুটিংয়ে পা ফেলার ঠিক আগে আগে গেল ভোর রাতে নিজের ফেসবুকে একটি স্মৃতিকাতর পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সবুজ শ্যামল গ্রাম ছেড়ে একবুক স্বপ্নের জোরে আলো ঝলমলে যাদুর শহর ঢাকায় এসেছিলাম ২০০৭ সালে। অভিনয়কে ভালোবেসে জীবনের সব স্বাদ আহ্লাদ ত্যাগ করে আজঅব্দি যুদ্ধ করে যাচ্ছি একা। ফলাফলের হিসেব মেলানোর সাহস হয়নি এখনও। প্রতিদিনই যেন শূন্য থেকে শুরু হয় আমার!

 

আরও লিখেছেন, আর এই ১৭ সালে দেশের ভূগোল পেরিয়ে শুরু করছি নতুন যাত্রা। এখন আমার স্বপ্নদের আরও অনেক অনেক পাখা! সেই পাখায় ভর করে উড়ছি নতুন আকাশে। আবার কখনও পাখা খসে যাওয়ার বেদনা ঢাকি রঙিন মেকআপে। এগিয়ে যাই, ঠিকানা জানি না। আর কে বা জানে স্বপ্নের ঠিকানা! তবু পাথেয় হয় আকাশছোঁয়া স্বপ্নের শক্তি। কাজ শুরু করছি এক নতুন দেশে, নতুন ইন্ডাস্ট্রিতে। একদম জীবনের প্রথম দিনের শুটিংয়ের মতো অনুভূতি হচ্ছে!